Durgapur Bridge Kolkata: আজ থেকে ৫২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দুর্গাপুর ব্রিজ, কোন কোন বিকল্প রুটে গাড়ি চলবে?

দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুর্গাপুর ব্রিজ বন্ধ থাকবে আগামী ৫২ ঘণ্টা। সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে KMDA। সেক্ষেত্রে প্রবল যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। কোন কোন বিকল্প পথে যান চলাচল করবে? কী জানিয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।

Advertisement
 আজ থেকে ৫২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে দুর্গাপুর ব্রিজ, কোন কোন বিকল্প রুটে গাড়ি চলবে? দুর্গাপুর ব্রিজ
হাইলাইটস
  • দুর্গাপুর ব্রিজ বন্ধ থাকবে আগামী ৫২ ঘণ্টা
  • সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে KMDA
  • কোন কোন বিকল্প পথে যান চলাচল?

৫২ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে কলকাতার দুর্গাপুর ব্রিজ। কলকাতা মেট্রোপলিটান ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (KMDA) জানিয়েছে, সেতুর লোড টেস্ট বা ভারবহন ক্ষমতার পরীক্ষা করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শনিবার দুপুর ২টো থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ব্রিজটি।  নিউ আলিপুর এবং চেতলার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকলে প্রবল যানজটের আশঙ্কা রয়েছে ওই অঞ্চলে। 

কোন কোন পথে যান চলাচল?
কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের তরফে এই ৫২ ঘণ্টার জন্য দুর্গাপুর ব্রিজের বিকল্প পথ হিসেহে কোন কো রাস্তাগুলিতে যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে? উত্তরমুখী যানবাহনগুলিকে নিউ আলিপুর ট্র্যাফিক আইল্যান্ড থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও দক্ষিণমুখী গাড়িগুলিকে আলিপুর রোড ও গোবিন্দ আঢ্য রোডের ক্রসিং থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ট্রাফিক পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্গাপুর সেতু বন্ধ থাকলেও, মাঝেরহাট সেতুতে যান চলাচল করবে। তবে ধনধান্য সেতু এবং জিরাট সেতু দিয়েও যান চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়াও টালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে যানজট সামাল দেওয়ার জন্য। দুর্গাপুর সেতু বেহালার জন্য একটি প্রধান বিকল্প রুট। ফলে এই ৫২ ঘণ্টা চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হওয়ার আশঙ্কা বেহালাবাসীর। 

দুর্গাপুর ব্রিজের স্বাস্থ্য 
প্রসঙ্গত, গত বছর ডিসেম্বর মাসে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুর নীচে বস্তিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। যার ফলে সেতুর নীচের অংশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। আগুনের তাপে কংক্রিটের আর্দ্রতা শুকিয়ে গিয়ে প্রায় ভঙ্গুর হয়ে পড়েছিল বলে উঠে আসে সেতুর স্বাস্থ্য রিপোর্টে। তারপর থেকেই এই সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ বার লোড টেস্টের মাধ্যমে KMDA দেখতে চাইছে সেতুটি বর্তমানে কতটা ভার বহন করতে সক্ষম। সে কারণেই ৫২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত। 

 

 

POST A COMMENT
Advertisement