নিউটাউনে সাপুরজি সুখবৃষ্টি আবাসনে এনকাউন্টারে পঞ্জাবের দুই গ্যাংস্টারের মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকেই নিশানা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বললেন, 'পশ্চিমবঙ্গে উগ্রপন্থী ধরা পড়া নতুন নয়। রাজ্যে যে ভাবে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ভাবে অবনতি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীরা লুকনোর জায়গা হিসেবে বেছে নিচ্ছে।'
মঙ্গলবার নিউটাউনের সুখবৃষ্টি আবাসনে বেঙ্গল এসটিএফ-এর সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে ২ গ্যাংস্টারের। জয়পাল ভুল্লর ও যশপ্রীত জস্সি নামে দুজন গ্যাংস্টার সাপুরজি আবাসনে একটি ফ্ল্যাটে লুকিয়ে ছিল ২২ মে থেকে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে উগ্রপন্থী ধরা পড়া নতুন নয়। সিপিএম আমল থেকে একাধিক বার শিখ উগ্রপন্থীদের আমরা দেখেছি এখানে সেল্টার নিতে। তাদের সঙ্গে গুলি গোলাও চলেছে। পুরুলিয়া, হাওড়াতে হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়েছে। এখানেও একই জিনিস ঘটেছে । ইন্টেলিজেন্ট ফেলিয়োর।'
দিলীপের আরও বক্তব্য, 'এখানকার রাজ্য সরকার উগ্রপন্থীদের সেল্টার দেয়। এর আগে মিজোরামের উগ্রপন্থীরা ধরা পড়েছে এখানে। এরাও ধরা পড়ল এখানে। বাংলাদেশের উগ্রপন্থীদের হামেসাই পাওয়া যায়। খাগড়াগড় থেকে শুরু করে নানা ঘটনায়। যেখানে আবাসন আছে, সেখানে কোনও নিরাপত্তা নেই। সেখানে কোনও স্ক্রুটিনি হয় না। কোথাও সুরক্ষা নেই। এটা খুব চিন্তার বিষয়, দাগী আসামিরা যারা এখানে লুকিয়ে থাকে। মোদি সরকার আসার পরে সারা দেশে হিংসা কার্যকলাপ বন্ধ হয়েছে। সমস্ত কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো অ্যাক্টিভ হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গেই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল, টেরোরিস্টরা জায়গা বেছে নিচ্ছে বার বার। সেল্টার নেওয়ার জন্য। এখান থেকে সারা দেশে উৎপাত তৈরি করছে। এখানকার সরকার চায় না এই ধরনের লোকেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। খাগড়াগড় কাণ্ড চাপা দেওয়া হয়েছিল। সেখানে বাংলাদেশি উগ্রপন্থীরা লুকিয়ে ছিল। এরকম বহু ঘটনা এখানে ঘটেছে।'
বুধবার দুপুরে নিউটাউনের শাপুরজি আবাসনে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ২ কুখ্যাত পঞ্জাবি দুষ্কৃতীর। মৃতরা জয়পাল ভুল্লর ও যশপ্রীত জস্সি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫টি অত্যাধুনিক রিভলভার, ৮৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৭ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নিহত ২ দুষ্কৃতী গত ১৫ মে পঞ্জাবের লুধিয়ানায় ২ পুলিশকর্মীকে খুন করে পালায় জয়পাল ও যশপ্রীত। মৃতদের বিরুদ্ধে যথাক্রমে ১০ লক্ষ ও ৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পঞ্জাব সরকার। গত কয়েকদিন ধরে তাদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। বুধবার দুপুরে তাদের নির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায়। এর পরই তাদের গ্রেফতার করতে সাপুরজি আবাসনে পৌঁছয় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এসটিএফ।