রবিবার সকালে ফের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শহরে। উল্টোডাঙায় রেল লাইনের পাশের ঝুপড়িতে আগুন লাগে। পরিস্থিতি সামলাতে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। বেশ কয়েকটি ঘর ইতিমধ্যেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ঘিঞ্জি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে ইতিমধ্যেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ উল্টোডাঙায় রেল লাইনের পাশে ঝুপড়িতে আগুন লাগে। দ্রুততার সঙ্গে একের পর এক ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। কমপক্ষে ১০-১২টি বাড়ি পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলেই খবর। ঘিঞ্জি বসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন নেভাতে বেগ পেতে হয় দমকল বাহিনীকেও। তবে শেষ আপডেট অনুযায়ী, আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। দমকল বাহিনী চারিদিক থেকে অগ্নিস্থলটিকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
দমকলের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমানে আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। অত্যন্ত তৎপরতার সঙ্গে কাজ করা হচ্ছে। নতুন করে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বেশ কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই বাড়িগুলির আগুন নেভানোর কাজ চলছে। পাশাপাশি পকেট ফায়ার রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কী থেকে আগুন লেগেছে, তা এখনও জানা যায়নি। প্রাথমিকভাবে অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগে থাকতে পারে। অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় এবং প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায়, আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বস্তির ঘরগুলিতে গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে। আগুনের তাপে সেগুলিতেও বিস্ফোরণের সম্ভাবনা রয়েছে। তড়িঘড়ি দমকলকর্মীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্য নিয়ে সেই সিলিন্ডারগুলি বের করে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারও কলকাতায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল গড়িয়াহাটের কয়েকটি ঝুপড়ি। শুক্রবার সন্ধেবেলা কাকুলিয়া বসতিতে অগ্নিকাণ্ডে ছাদ হারিয়েছে বেশ কয়েকটি পরিবার। ঘটনার খবর পেয়ে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন দ্রুত সেখানে ছুটে যায়। সর্বশক্তি নিয়ে আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দমকল কর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে লেলিহান অগ্নিশিখা গ্রাস করে ফেলেছে বসতির আশেপাশের অন্তত ৮টি বাড়ি। ছাদহীন বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে বাড়িগুলি নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।