কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার জায়গান করলেন অভিনেতা ও সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। নিজের ভাষণে তিনি বাংলা ও বাংলার সংস্কৃতি নিয়ে কথা বলেন। বাংলার সংস্কৃতি, দুর্গাপুজো সবই উঠে আসে আসানসোলের সাংসদের মুখে। বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শত্রুঘ্ন বলেন, 'যখন বাংলার সামাজিক ও সাংস্কৃতির কথা বলতে হয়, তখন দুটো কথা বলতেই হবে। বাঙালির উৎসব দুর্গাপুজো আজ বিশ্বের উৎসবে পরিণত হয়েছে। বাংলার দুর্গাপুজো হেরিটেজ তকমা পেয়েছে ইউনাইটেড নেশনের কাছ থেকে। এটা মমতাদিদির প্রচেষ্টা ও লড়াইয়ের কারণে হয়েছে।'
গত অক্টোবরেই দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হয়েছে। বাংলাকে ধ্রুপদী ভাষা (classical language) হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর আগে দেশের ৬টি ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হলেও তালিকায় ছিল বাংলা। এবার তালিকায় ঢুকে গেল। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছিলেন, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত, অহমিয়া ও বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
নিজের ভাষণে এই বিষয়টাও তুলে ধরেন শত্রুঘ্ন। কারণ, বাংলা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বহুবার চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এক্ষেত্রেও কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রীকেই দেন শত্রুঘ্ন। তিনি বলেন,'বাংলা ভাষা গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষা, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ভাষা, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ভাষা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষা, আমাদের সবার ভাষা, কত সুন্দর ভাষা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টার জন্যই বাংলা ভাষা বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে। আর আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে যাই হয়ে যাক না কেন, যেখানেই থাকি না কেন, আমি এখন যে কোনও পরিস্থিতিতেই আপনাদের আছি, ছিলাম ও থাকব।'