ঠান্ডা পানীয়ের কারখানায় অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডার লিক করার ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়াল কামালগাজিতে। ঘটনার জেরে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে অ্যামোনিয়া গ্যাসের কটু গন্ধ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকল। গ্যাসের উৎসস্থল খুঁজে তা বন্ধ করার চেষ্টা শুরু করেন দমকলকর্মীরা। কিন্তু গ্যাসের তীব্র গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুই দমকল কর্মী ও ওই ঠান্ডা পানীয়ের কারখানার বেশকয়েক জন কর্মী। তবে দমকল সূত্রে খবর, বর্তমানে গ্যাস বেরোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
এলাকায় তীব্র গন্ধ
জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টের নাগাদ হঠাৎই গ্যাস লিক করতে শুরু করে কামালগাজির ওই ঠান্ডা পানীয়ের কারখানায়। সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয় কারখানায় কর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে কারখানা থেকে বেরোতে শুরু করেন কর্মীরা। এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে অ্যামোনিয়া গ্যাসের ঝাঁজালো গন্ধ। গ্যাস লিক করায় অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন কারখানার বেশকয়েক জন কর্মী। খবর দেওয়া হয় দমকলকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। গ্যাসের তীব্রতায় অসুস্থ বোধ করতে শুরু করেন দমকলের ২ কর্মী। এলাকায় যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশও।
কাজ শুরু না করার আবেদন
তবে কিছু সময়ের মধ্যেই ওই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে দমকলের সূত্রে খবর। অ্যামোনিয়া গ্যাসের সিলিন্ডারের যে ভাল্ভ থেকে গ্যাস বের হচ্ছিল সেখানে পৌঁছন দমকল কর্মীরা। রীতিমতো মাস্ক পরে অভিযানে নামেন তাঁরা। গ্যাস লিক হওয়ার জায়গাটি চিহ্নিত করেন দমকলকর্মীরা। শুরু হয় লিক বন্ধ করার চেষ্টা। ঘটনায় ইতিমধ্যেই কারখানা কর্তৃপক্ষকে দমকলের তরফে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত কাজ শুরু না করার অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় পুরসভা। পাশাপাশি এদিন যাঁরা ডিউটিতে ছিলেন, তাঁদেরও ছুটি দিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।
এলাকায় যানজট
এদিকে গ্যাস লিক করার খবরে মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ওই কাণ্ড দেখে ভিড় জমান আশেপাশের মানুষজন। যার জেরে কিছুটা সাময়িক যানজটেরও সৃষ্টি হয় এলাকায়। যদিও তৎপরতার সঙ্গে সেই যানজট নিয়ন্ত্রণ করে ট্রাফিক পুলিশ।
আরও পড়ুন - 'কুত্তা' হল দত্ত, অবশেষে ঠিক রেশন কার্ড পেলেন বাঁকুড়ার ব্যক্তি