কসবায় ল'কলেজে গণধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের শরীরে আঁচড়ের দাগ পাওয়া গিয়েছে। ধর্ষণের সময় নিজেকে বাঁচাতে নির্যাতিতার নখের দাগ বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে এমন তথ্যই পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, মনোজিতের শরীরে ওই নখের দাগ দেখেই স্পষ্ট যে, ধর্ষণের সময় নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন নির্যাতিতা।
কী বলছে পুলিশ?
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ওই আঁচড়ের দাগগুলো দেখেই স্পষ্ট যে, কেউ নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট। জানা গিয়েছে, ঘটনার পরের দিন সকালে কলেজের উপাচার্য ড. নয়না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে মনোজিৎ।
এই প্রসঙ্গে পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, 'নয়না চট্টোপাধ্যায়কে আমরা ২ বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কল ডিটেলসে ওঁর নাম উঠে এসেছে। ঘটনার পরের দিন সকালে মনোজিতের সঙ্গে নয়নার কী কথা হয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।'
অন্য দিকে, যে ওষুধের দোকান থেকে নির্যাতিতার জন্য ইনহেলার কিনেছিল ধৃত জইব, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ওষুধের দোকানের মালিকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ঘটনার পর অসুস্থ বোধ করেছিলেন তিনি। এজন্য তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিযুক্তদের কাছে কাতর আর্জি জানান তিনি। কিন্তু অভিযুক্তরা তা শোনেনি। শেষে শ্বাসকষ্ট হওয়ায় ইনহেলার চান নির্যাতিতা। তখনই ইনহেলার কিনতে ওষুধের দোকানে যায় জইব।
অন্য দিকে, মনোজিতের বিরুদ্ধে আরও এক যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলেন কলেজের এক ছাত্রী। তাঁর অভিযোগ, ২ বছর আগে তাঁর শ্লীলতাহানি করেছিল মনোজিৎ। তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। ইন্ডিয়া টুডে টিভিকে দেওয়া এক এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে ওই ছাত্রী অভিযোগ করেছেন যে, ২ বছর আগে কলেজের একটি ট্রিপে তাঁকে হেনস্থা করেছিল মনোজিৎ। সে হুমকিও দিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিল। শুধু তাই নয়, কলেজের প্রায় ১৫ জন ছাত্রী মনোজিতের লালসার শিকার হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই ছাত্রী।