Kolkata Law College Gangrape Case: 'চুলের মুঠি ধরে আমার জামা খুলছিল মদ-গাঁজায় বুঁদ মনোজিত্‍,' মারাত্মক অভিজ্ঞতা শোনালেন আরেক ছাত্রী

কসবার ল কলেজের গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ফের উঠল চাঞ্চল্যকর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কলেজেরই আর এক প্রাক্তন ছাত্রী সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কলেজের একটি অনুষ্ঠানের সময় তাঁকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন মনোজিৎ।

Advertisement
'চুলের মুঠি ধরে আমার জামা খুলছিল মদ-গাঁজায় বুঁদ মনোজিত্‍,' মারাত্মক অভিজ্ঞতা শোনালেন আরেক ছাত্রী
হাইলাইটস
  • কসবার ল কলেজের গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ফের উঠল চাঞ্চল্যকর শ্লীলতাহানির অভিযোগ।
  • কলেজেরই আর এক প্রাক্তন ছাত্রী সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কলেজের একটি অনুষ্ঠানের সময় তাঁকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন মনোজিৎ।

কসবার ল কলেজের গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বিরুদ্ধে ফের উঠল চাঞ্চল্যকর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কলেজেরই আর এক প্রাক্তন ছাত্রী সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কলেজের একটি অনুষ্ঠানের সময় তাঁকে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রেখে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন মনোজিৎ।

এই অভিযোগকারিণী ছাত্রী জানান, কলেজে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় তিনি একা একটি ঘরে ঢুকে ফোনে বাবার সঙ্গে কথা বলছিলেন। সেই সময় মনোজিৎ সেখানে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর নিজের শার্ট খুলতে খুলতে এগিয়ে আসে। সে সময় তিনি মদ্যপ ও গাঁজার নেশা করেছিল। গানের ভলিউম বাড়িয়ে দিয়ে ওই ছাত্রীর চুল ধরে টেনে বারান্দায় নিয়ে গিয়ে পোশাক খুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন মনোজিৎ। 'সে আমার গায়ে হাত দেয়, আমি বারবার তাকে থামতে বলি। সে আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। আমার জামাকাপড় টেনে ছিঁড়ে দেয়। সৌভাগ্যক্রমে একজন সিনিয়র ছাত্রী দরজায় ধাক্কা দেন, তখনই মনোজিৎ পালিয়ে যায়,' বলেন নির্যাতিতা।

ওই ছাত্রীর আরও অভিযোগ, তার পরিবারের সদস্যদের নাম করে ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, 'দু’মিনিটে তোমার বাবার ঠিকানা বার করে ফেলব।' তিনি কিছু সময়ের জন্য অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, 'যদি আরও কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান হারাতাম, তাহলে আজ হয়তো আমিই হতাম সেই নির্যাতিতা।'

কলকাতা পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) মনোজিৎ মিশ্র ও কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল নয়না চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে ঘটনার পরের সকালে ফোনালাপের রেকর্ড পেয়েছে। এছাড়া, অভিযুক্ত মনোজিতের শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন ও নখের দাগ পাওয়া গেছে, যা ধর্ষণের সময় নির্যাতিতার প্রতিরোধের প্রমাণ হিসেবে ধরা হচ্ছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement