Firhad Hakim: 'পুরসভা কি বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে হেলা বাড়ি সোজা করবে?' মেজাজ হারালেন ফিরহাদ

বাঘাযতীনের ঘটনা প্রসঙ্গে মেয়র বলছেন, 'বাঘাযতীনের বাড়ি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে। যে বিষয়টা আগেই জানিয়েছিলাম এটা টেকনিক্যাল কারণের জন্য হয়েছে। তবে ডিটেলসটা আমি এখনও জানি না, কী রিপোর্ট জমা পড়েছে। কারণ কমিশনারের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। এটা বিল্ডিং কমিটিতে ফেলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।'

Advertisement
'পুরসভা কি বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে হেলা বাড়ি সোজা করবে?' মেজাজ হারালেন ফিরহাদকলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম
হাইলাইটস
  • মেজাজ হারালেন ফিরহাদ হাকিম
  • 'বাঘাযতীনের বাড়ি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে'
  • কলকাতায় হেলে যাওয়া বাড়ির সংখ্যা বর্তমানে ৩০টি

বাঘাযতীনের পর ট্যাংরাতেও হেলে গেল বহুতল বাড়ি। একের পর এক বহুতল হেলে যাওয়ার ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে। যদিও পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মেজাজ হারালেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য, 'পুরসভা কি বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে হেলা বাড়ি সোজা করবে?'

মেজাজ হারালেন ফিরহাদ হাকিম

বুধবার হেলে যায় ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডের একটি বহুতল বাড়ি। বাসিন্দাদের খালি করতে নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। অভিযোগ উঠছে, বেআইনি ভাবে ফ্ল্যাটটি বানানো হয়েছিল। বিরোধীদের অভিযোগ, এই রকম বহু বেআইনি নির্মাণ গজিয়ে উঠেছে কলকাতায়।  এহেন পরিস্থিতিতে মেয়র বলছেন, 'পুরসভা কি বাঁশ নিয়ে দাঁড়িয়ে হেলা বাড়ি সোজা করবে? আসলে আইনটা জানতে হবে। বাড়ি তৈরি করতে যে লিস্টেড ইঞ্জিনিয়াররা দায়িত্বে থাকেন তাঁদেরকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁদেরকে শোকজ করা হচ্ছে। এই হেলা বাড়ি নিয়ে যখন এত আলোচনা তখন আমরা এই বাড়িটা ডিমোলিশান অর্ডার দিয়ে দিয়েছি। আগের যে বাড়ি অর্থাৎ ৯৯ নম্বর ওয়ার্ড বাঘাযতীন সেখানে পুরসভার দুজন ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ করা হয়েছে। তারা কেন দেখল না বাড়িটি হেলে রয়েছে?'

'বাঘাযতীনের বাড়ি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে'

বাঘাযতীনের ঘটনা প্রসঙ্গে মেয়র বলছেন, 'বাঘাযতীনের বাড়ি নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে। যে বিষয়টা আগেই জানিয়েছিলাম এটা টেকনিক্যাল কারণের জন্য হয়েছে। তবে ডিটেলসটা আমি এখনও জানি না, কী রিপোর্ট জমা পড়েছে। কারণ কমিশনারের কাছে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। এটা বিল্ডিং কমিটিতে ফেলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।'

কলকাতায় হেলে যাওয়া বাড়ির সংখ্যা বর্তমানে ৩০টি

কলকাতায় হেলে যাওয়া বাড়ির সংখ্যা বর্তমানে ৩০টি। সেই বাড়িগুলি দীর্ঘদিন ধরেই হেলে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন ফিরহাদ। তাঁর কথায়, 'বেআইনি বাড়ি নিয়ে আমি মেয়র হওয়ার পর যে প্রসেস করে দিয়েছি যা অন্য কোনও মেয়র করেনি। এই প্রসেসে নতুন করে বেআইনি বাড়ি হওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। যদি সেখানে কোনও প্রশাসনিক গাফিলতি না থাকে তো। সাধারণত বেআইনি নির্মাণ হয়ে থাকে ছোট জায়গায় বাড়ি করার ক্ষেত্রে। সেখানে এক কাঠা জমিতে বাড়ি তৈরি করতে গিয়ে যদি ৪ ফুট করে ছাড় দিতে হয় তাহলে বাড়ি তৈরি কীভাবে হবে? তিন কাঠা পর্যন্ত জমিতে বাড়ির রেশিও অনুযায়ী ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব নবান্নে পাঠানো হয়েছে। গরিব মানুষকে যদি সুবিধা মতো সুযোগ না দেওয়া হয় তাহলে বেআইনি নির্মাণ বাড়বে। তাই আমরা বিল্ডিং রুলসে পরিবর্তনের প্রস্তাব এনেছি।' 

Advertisement

সংবাদদাতা: তপনকুমার নস্কর

POST A COMMENT
Advertisement