scorecardresearch
 

Ananya Banerjee: 'গভীরে যাও...' মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক, TMC কাউন্সিলর অনন্যাকে শো-কজ

অনন্যার এই মন্তব্যের পরেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অধিবেশন কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে করেন বিরোধী দলের কাউন্সিলররা। তৃণমূল কংগ্রেসেরও একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে।

Advertisement
Ananya Banerjee Ananya Banerjee
হাইলাইটস
  • বিতর্কের নাম অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়
  • বাজেট অধিবেশনে কী বলেছিলেন অনন্যা?
  • তৃণমূলের কাউন্সিলররাও নিন্দায় সরব

বিতর্কের নাম অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনন্যার মন্তব্যে শাসকদল এতটাই অস্বস্তিতে যে, অনন্যাকে শোকজ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। মেয়র সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেও জানান, অনন্যার কাছে তাঁর মন্তব্যের কৈফিয়ৎ চেয়েছে তৃণমূলের পুরদল। কলকাতা পুরসভার ১০৯ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাজেট অধিবেশনের ভাষণে একটি মন্তব্য ঘিরেই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। যদিও পুরসভার দাবি, অনন্যার বিতর্কিত মন্তব্যের অংশটি রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বাজেট অধিবেশনে কী বলেছিলেন অনন্যা?
 
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কলকাতা পুরসভার বাজেট পেশ করা হয়। বস্তুত, ঘাটতি বাজেট। সেই বাজেট আলোচনায় সোমবার বক্তব্য পেশ করেন তৃণমূলের অভিনেত্রী কাউন্সিলর অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভাষণে একটি মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘আমি একটি রূপকধর্মী গল্প বলছি। বিদেশে ওপেন সেক্স প্রচলিত। এক ফাদার গাড়িতে চার্চে যাচ্ছিলেন। পথে লিফট চান এক নান। ফাদার তাঁকে গাড়িতে তুলে শরীরে হাত দিতে থাকেন। নান ফাদারকে বলেন, তাঁর বাইবেলের ১১২ নম্বর আর্টিকেল পড়া আছে। চার্চে পৌঁছে বাইবেল খুলে ফাদার দেখেন, ১১২ নম্বর আর্টিকেলে লেখা ‘গভীরে যাও। আরও গভীরে যাও। তবেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে।'

তৃণমূলের কাউন্সিলররাও নিন্দায় সরব

আরও পড়ুন

অনন্যার এই মন্তব্যের পরেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়। নির্দিষ্ট একটি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। অধিবেশন কক্ষে বিক্ষোভ দেখাতে করেন বিরোধী দলের কাউন্সিলররা। তৃণমূল কংগ্রেসেরও একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে। চেয়ারপার্সন মালা রায় জানান, সব পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরে পুরসভা সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে যে কাউন্সিলরের ভাষণের বিতর্কিত ওই অংশ রেকর্ড থেকে বাদই যাচ্ছে। বিজেপি কাউন্সিলররা অনন্যার কাউন্সিলর পদ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

তৃণমূলের দুই কাউন্সিলর সুস্মিতা ভট্টাচার্য ও ক্রিস্টিনা বিশ্বাসের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন অনন্যা।  সুস্মিতা ভট্টাচার্য বলেন, 'এ ধরনের স্টেটমেন্ট অযৌক্তিক, কোনও দরকারই নেই। আমাদের সকলের খারাপ লেগেছে।' অন্যদিকে শাসকদলের আরেক কাউন্সিলর ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ক্রিস্টিনা বিশ্বাস বলেন, 'ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের মন্তব্য কেউ না করে সেটা দেখতে হবে।'

Advertisement

কী বলছেন অনন্যা?

যদিও অনন্যার বক্তব্য, 'কোনও ব্যক্তি বা কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করার আমার কোনও উদ্দেশ্যই নেই। এটা নিছক একটা গল্প। আর যে শব্দ আমি ব্যবহার করেছি সেটাও ব্রাত্য নয়। সামাজিক সম্পর্ক বোঝাতে এই শব্দের ব্যবহার হয়।'

Advertisement