Shahid Khudiram metro: মেট্রোর লাইন পরিবর্তনে বড়সড় রদবদল, শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনই হবে নতুন টার্মিনাল

উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে (ব্লু লাইন) মেট্রো পরিষেবায় আসছে বড় পরিবর্তন। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মের স্তম্ভে ফাটলের কারণে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম (ব্রিজি) স্টেশনকেই দক্ষিণ প্রান্তের টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

Advertisement
মেট্রোর লাইন পরিবর্তনে বড়সড় রদবদল, শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনই হবে নতুন টার্মিনালকলকাতা মেট্রো। ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে (ব্লু লাইন) মেট্রো পরিষেবায় আসছে বড় পরিবর্তন।
  • কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মের স্তম্ভে ফাটলের কারণে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

উত্তর-দক্ষিণ করিডোরে (ব্লু লাইন) মেট্রো পরিষেবায় আসছে বড় পরিবর্তন। কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্ল্যাটফর্মের স্তম্ভে ফাটলের কারণে কবি সুভাষ (নিউ গড়িয়া) স্টেশনে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন থেকে শহীদ ক্ষুদিরাম (ব্রিজি) স্টেশনকেই দক্ষিণ প্রান্তের টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

সময় বাঁচাতে ট্র্যাক পরিবর্তন শহিদ ক্ষুদিরামে
মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি. উদয় কুমার রেড্ডি জানিয়েছেন, কবি সুভাষ স্টেশনে ফাটলের জেরে বিপরীত ট্রেনের চলাচল অনিরাপদ হয়ে পড়েছে। সেই কারণে শহীদ ক্ষুদিরামে ট্র্যাক পরিবর্তনের জন্য ‘রিভার্সাল পয়েন্ট’ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য নতুন অবকাঠামো ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি, এবং আপাতত এই প্রকল্পের নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত হয়নি।

কবি সুভাষে বড় মেরামতির পরিকল্পনা
রেড্ডি আরও জানান, আপ প্ল্যাটফর্ম (দক্ষিণেশ্বরগামী ট্রেনের জন্য) সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলে পুনর্নির্মাণে কমপক্ষে ৯ মাস সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই ছাদের বড় অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে, পরবর্তী ধাপে ভাঙা হবে প্ল্যাটফর্ম ও পিলার। একবার কাজ শুরু হলে, স্টেশনটি দিয়ে কোনও ট্রেনের যাতায়াত সম্ভব হবে না বলেও জানান তিনি।

শহীদ ক্ষুদিরামে যাত্রীর সংখ্যা দ্বিগুণ
কবি সুভাষে পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পর শহীদ ক্ষুদিরাম স্টেশনে যাত্রীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এখন প্রতিদিন প্রায় ২০,০০০ যাত্রী এখানে আসছেন, যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ। যাত্রীদের সুবিধার্থে আগের একটির পরিবর্তে তিনটি টিকিট কাউন্টার চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি, দুটি স্টেশনের মধ্যে যাতায়াতের জন্য নতুন অটো রুটও চালু হয়েছে।

এখনও কবি সুভাষে যাচ্ছে খালি ট্রেন
পরিস্থিতির কারণে, দক্ষিণেশ্বরগামী প্রতিটি ট্রেন এখনও খালি অবস্থায় কবি সুভাষে গিয়ে দিক পরিবর্তন করে ফিরে আসছে। এতে প্রতি ট্রেনের ক্ষেত্রে ১.৬ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ এবং প্রায় ৬ মিনিট সময় লাগছে। এই সময় অপচয় কমাতেই শহিদ ক্ষুদিরামে রিভার্সাল পয়েন্ট তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশন পরিদর্শন করেন জেনারেল ম্যানেজার রেড্ডি এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে শহিদ ক্ষুদিরামেই ট্রেনের দিক পরিবর্তনের স্থায়ী ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। স্টেশনটির অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যাত্রীসেবাও আরও উন্নত করা হবে।'

Advertisement


 

POST A COMMENT
Advertisement