Kolkata Metro Rail: স্পিড কমে গেছে মেট্রোর, কেন? ৪০ বছরের পুরনো টানেলে বড় সংস্কার শীঘ্রই

শুধু ভেঙে পড়া নিউ গড়িয়া স্টেশনই নয়, কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এখন সমানভাবে উদ্বিগ্ন উত্তর–দক্ষিণ করিডোরের পুরনো ও ক্ষয়িষ্ণু ভূগর্ভস্থ পরিকাঠামো নিয়েও। ব্লু লাইনের টালিগঞ্জ থেকে দমদম পর্যন্ত প্রায় ১৬.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ভূগর্ভস্থ অংশের বয়স ৪০ বছর পেরিয়েছে।

Advertisement
স্পিড কমে গেছে মেট্রোর, কেন? ৪০ বছরের পুরনো টানেলে বড় সংস্কার শীঘ্রইমেট্রোর সংস্কারের সিদ্ধান্ত।-গ্রাফিক্স
হাইলাইটস
  • শুধু ভেঙে পড়া নিউ গড়িয়া স্টেশনই নয়, কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এখন সমানভাবে উদ্বিগ্ন উত্তর–দক্ষিণ করিডোরের পুরনো ও ক্ষয়িষ্ণু ভূগর্ভস্থ পরিকাঠামো নিয়েও।
  • ব্লু লাইনের টালিগঞ্জ থেকে দমদম পর্যন্ত প্রায় ১৬.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ভূগর্ভস্থ অংশের বয়স ৪০ বছর পেরিয়েছে।

শুধু ভেঙে পড়া নিউ গড়িয়া স্টেশনই নয়, কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এখন সমানভাবে উদ্বিগ্ন উত্তর–দক্ষিণ করিডোরের পুরনো ও ক্ষয়িষ্ণু ভূগর্ভস্থ পরিকাঠামো নিয়েও। ব্লু লাইনের টালিগঞ্জ থেকে দমদম পর্যন্ত প্রায় ১৬.৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ভূগর্ভস্থ অংশের বয়স ৪০ বছর পেরিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে টানেল, প্ল্যাটফর্ম ও পিলারের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষয়, ফাটল ও জল চুঁইয়ে পড়ার সমস্যা তীব্র হয়েছে। এ অবস্থায় পুরো টানেলের বড়সড় সংস্কারের পরিকল্পনা নিয়েছে মেট্রো রেল, যার জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ কোটিরও বেশি।

মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার পি. উদয় কুমার রেড্ডি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'বর্তমানে আমাদের প্রথম কাজ নিউ গড়িয়া (কবি সুভাষ) স্টেশনের আপ প্ল্যাটফর্ম পুনর্নির্মাণ। এটি শেষ হলে আমরা টানেল সংস্কারের কাজে হাত দেব। পরিকল্পনার জন্য পরামর্শদাতা সংস্থা RITES-কে নিযুক্ত করা হয়েছে।'

নিউ গড়িয়া স্টেশনের পরিস্থিতি
২৮ জুলাই বিকেলে আপ প্ল্যাটফর্মের কলামে ফাটল দেখা দেওয়ায় যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় নিউ গড়িয়া স্টেশনে। দুর্গাপুজোর আগে টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এবং শীঘ্রই ভাঙার কাজ শুরু হবে। রেড্ডি বলেন, 'স্টেশনটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে প্রায় নয় মাস সময় লাগবে।'

টানেলের মূল সমস্যাগুলি
ট্র্যাকের ক্ষয়ক্ষতি

কয়েক দশকের ব্যবহারে টানেলের বিভিন্ন স্থানে ট্র্যাক নেমে গেছে ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর ফলে ট্রেনের গতি ৮০ কিমি/ঘণ্টা থেকে নেমে গড়ে ৫৫ কিমি/ঘণ্টায় দাঁড়িয়েছে। নিরাপত্তার জন্য কিছু নির্দিষ্ট অংশে গতি আরও কমানো হচ্ছে।

জল জমার সমস্যা
টানেলের বহু অংশে ডায়াফ্রাম দেয়াল দিয়ে জল চুঁইয়ে পড়ছে। ভারী বর্ষণে সেন্ট্রাল–চাঁদনী চক অংশ ও পার্ক স্ট্রিট স্টেশন প্লাবিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে পরিষেবা ঘন্টার পর ঘন্টা বন্ধ ছিল। গত বছর ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর সময়ও একই সমস্যা দেখা দেয়।

পিলার ও প্ল্যাটফর্ম ক্ষতিগ্রস্ত
ভূগর্ভস্থ পিলারগুলির অনেকগুলি ক্ষয়ে গেছে। ওভারহেড তার থেকে প্রবাহিত বিদ্যুৎ ভূগর্ভস্থ পিলারে প্রভাব ফেলছে, ফলে ধীরে ধীরে ক্ষয় হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মেও ভাঙচুর ও ক্ষতির চিহ্ন দেখা যাচ্ছে।

Advertisement

ইতিহাস ও রক্ষণাবেক্ষণ
১৯৮৪ সালের ২৪ অক্টোবর এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর পর্যন্ত কলকাতার প্রথম মেট্রো চালু হয়। ১৯৯৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর টালিগঞ্জ–দমদম করিডোর সম্পূর্ণরূপে কার্যকর হয়। যদিও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয়, কিন্তু ৪০ বছরের পুরনো এই অংশ এখন সম্পূর্ণ ওভারহলিংয়ের প্রয়োজনীয়তায় পৌঁছেছে।

সংস্কার ও উন্নয়নের পরিকল্পনা
টানেল মেরামতের পাশাপাশি সিগন্যালিং সিস্টেম আধুনিকীকরণ করে ট্রেনের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে যাত্রীসেবা আরও দ্রুত ও নিরবচ্ছিন্ন হবে।
 

 

POST A COMMENT
Advertisement