Kolkata Metro News: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ৫০ লক্ষ যাত্রী বিভিন্ন রুটে কলকাতা মেট্রো ব্যবহার করেছেন। PTI কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানালেন কলকাতা মেট্রোর এক আধিকারিক। সামনেই দুর্গাপুজো। কেনাকাটার কারণে প্রতিবারের মতো এবারও যাত্রীসংখ্যা হঠাৎ কিছুটা বেড়েছে। এর পাশাপাশি একাধিক নয়া রুট চালু হচ্ছে। সেই কারণে মানুষের মধ্যে মেট্রো ব্যবহারের প্রবণতাও বেড়েছে। সেই কারণেই যাত্রীদের সংখ্যা বিপুল হারে বাড়ছে। তবে এই বাড়তি ভিড়ের ঠেলায় নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা। অফিস যাতায়াত করতে গিয়ে রীতিমতো 'যুদ্ধ' করতে হচ্ছে তাঁদের। অনেকেই বলছেন, 'মেট্রো আর আগের মতো নেই। লোকাল ট্রেন হয়ে গিয়েছে।'
এখনও মেট্রোর সবচেয়ে ব্যস্ত করিডর ব্লু লাইন (দক্ষিণেশ্বর থেকে শহিদ ক্ষুদিরাম)। এই রুটে সেপ্টেম্বরের প্রথম ছ’দিনে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭.৪৯ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেছেন। অন্যদিকে, গ্রিন লাইনেরও (হাওড়া ময়দান-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ) যাত্রী বাড়ছে। বাস এড়িয়ে, হাওড়া থেকে দ্রুত কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় যেতে অনেকেই এই রুট বেছে নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি জোকা-মাঝেরহাট, নিউ গড়িয়া-বেলেঘাটা ও নোয়াপাড়া (বড়ানগর)-জয়হিন্দ বিমানবন্দর রুটেও যাত্রীসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
একদিনেই ৮ লক্ষ যাত্রী!
মেট্রো সূত্রে খবর, ১ সেপ্টেম্বর যাত্রীসংখ্যা ছিল ৮.০৭ লক্ষ। ৪ সেপ্টেম্বর ৭.৮৬ লক্ষ। ৬ সেপ্টেম্বর সপ্তাহান্তে প্রায় ৭.১৩ লক্ষ যাত্রী মেট্রো চড়েছেন। এঁদের একটি বড় অংশই সম্ভবত পুজো শপিংয়ে বেরিয়েছিলেন বলে আন্দাজ আধিকারিকদের। এর মধ্যে শুধু গ্রিন লাইনেই ১ ও ৪ সেপ্টেম্বর মিলিয়ে ২ লক্ষেরও বেশি যাত্রী যাতায়াত করেছেন। অগাস্টের শেষ সপ্তাহে মোট যাত্রীসংখ্যা ছিল ৪৯.১৮ লক্ষ।
ডিজিটাল টিকিটিংয়ের বিষয়েও ধীরে ধীরে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ১.৮২ লক্ষেরও বেশি মোবাইল কিউআর টিকিট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ব্লু লাইনে ৯৪ হাজারেরও বেশি এবং গ্রিন লাইনে ৮৫ হাজারের বেশি কিউআর টিকিট কাটা হয়েছে। ৬ সেপ্টেম্বর ৩৪,৫৫৯টি মোবাইল কিউআর টিকিট বিক্রি হয়।
নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ
ব্লু লাইনের নিত্যযাত্রীদের একাংশ অবশ্য এই বাড়তি ভিড়ে বেশ বিরক্ত। তাঁদের দাবি, মেট্রোর ভিড় এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, অনেকে সুযোগ পেলে বাস বা ট্যাক্সি বেছে নিচ্ছেন।
বিশেষত এসপ্ল্যানেডের মতো জংশন জাতীয় স্টেশনগুলিতে বিভিন্ন রুটের যাত্রী এসে মিশছেন। ফলে সেখানে ভিড়ে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। সেই সঙ্গে মাঝেমধ্যেই ট্রেন লেট, দাঁড়িয়ে থাকা বা দরজা বন্ধ না হওয়ার মতো সমস্যাও বাড়ছে বলে দাবি নিত্যযাত্রীদের।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, দুর্গাপুজোর মাসে এই ভিড় ক্রমশ বাড়বে। পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত আসল পরিস্থিতির বিষয়ে আগেভাগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।