Kolkata Metro Timing : কলকাতায় রাত্রিকালীন শেষ মেট্রোর সময় এগিয়ে আনা হল, কখন ছাড়বে?

যাত্রীদের সুবিধার জন্য রাত্রি ১১ টায় শেষ মেট্রো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা মেট্রো। সেই মতো মেট্রো চলছিলও। তবে সেই মেট্রোর সময় বদলে দেওয়া হল।

Advertisement
কলকাতায় রাত্রিকালীন শেষ মেট্রোর সময় এগিয়ে আনা হল, কখন ছাড়বে?kolkata metro Timing
হাইলাইটস
  • মেট্রোর সময় বদলে দেওয়া হল
  • রাত্রিবেলা যাত্রীরা এবার থেকে কটার সময় মেট্রো পাবেন?

যাত্রীদের সুবিধার জন্য রাত্রি ১১ টায় শেষ মেট্রো ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা মেট্রো। সেই মতো মেট্রো চলছিলও। তবে সেই মেট্রোর সময় বদলে দেওয়া হল। রাত্রি ১১ টার বদলে এই মেট্রো এবার থেকে ছাড়বে ১০ টা বেজে ৪০ মিনিটে। অর্থাৎ ২০ মিনিট সময় এগিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ এবার থেকে দমদম ও কবি সুভাষ থেকে আর ১১.০০ টায় শেষ মেট্রো ছাড়বে না। আগামী সোমবার থেকে নয়া সময়ে পরিষেবা চালু হবে। 

মেট্রো রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ২৪/০৬/২০২৪ (সোমবার) থেকে এই পরীক্ষামূলক রাত্রিকালীন পরিষেবার সময় ২০ মিনিট এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ২৪/০৬/২০২৪ তারিখ থেকে ব্লু লাইনে এই পরীক্ষামূলক রাত্রিকালীন পরিষেবাগুলি কবি সুভাষ এবং দমদম থেকে রাত ১০.৪০ টায় ছাড়বে। এই পরিষেবাগুলি সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া যাবে  এবং সমস্ত স্টেশনে ট্রেন থামবে৷ 

তবে আগের মতোই কোনও স্টেশনে টোকেন, স্মার্ট কার্ড ইত্যাদি বিক্রির জন্য কোনও টিকিট কাউন্টার খোলা থাকবে না। যাত্রীদের UPI পেমেন্ট মোড ব্যবহার করে সমস্ত স্টেশনে বসানো ASCRM মেশিন থেকে টোকেন কিনতে পারবেন। 

প্রসঙ্গত কলকাতা মেট্রোর তরফে গতকাল মঙ্গলবার জানানো হয়, রাত্রি ১১ টার মেট্রো চালাতে যে খরচ হচ্ছে সেই তুলনায় যাত্রী সংখ্যা খুবই কম। তখনই আশঙ্কা করা হয়েছিল, রাত্রিকালীন মেট্রো হয়তো তুলে দেওয়া হবে। তবে আজ বুধবার মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, সেই সময় এগিয়ে আনা হচ্ছে। 

কলকাতা মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র প্রেস রিলিজে মঙ্গলবার জানান, শেষ মেট্রোয় যাত্রী সংখ্যা কম। গড়ে মাত্র ৬০০ জন যাত্রী যাতায়াত করছেন। যাত্রীদের একটি অংশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই পরিষেবা চালু করা হয়। মনে করা হয়েছিল, বিপুলসংখ্যক যাত্রী এর সুবিধা নেবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, আপ ও ডাউন লাইনে গড়ে ৬০০ জন যাত্রী যাওয়া আসা করছেন। এই পরিষেবা থেকে মেট্রো আয় করছে মাত্র ৬ হাজার টাকা। সেখানে এই পরিষেবার জন্য মেট্রো প্রতি খরচ হয় ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অর্থাৎ প্রতিদিন খরচ হচ্ছে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অন্য খরচও প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

Advertisement

মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রেস বিবৃতিতে আরও জানিয়েছে, এই ট্রেন চালানোর জন্য প্রতি স্টেশনে কাউন্টার খোলা রাখতে হচ্ছিল রাত পর্যন্ত। অথচ দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ স্টেশনে গড়ে মাত্র ১ বা ২ টি টোকেন বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ এই সময়ে টোকেন বিক্রির হারও খুবই কম।
 

POST A COMMENT
Advertisement