Kolkata Metro tunnel: ‘বক্স-পুশিং’-এ তৈরি হচ্ছে মেট্রো টানেল, এগোচ্ছে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট, চালু কবে? 

কলকাতার মেট্রো পরিকাঠামোয় যুক্ত হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়। নিউ গড়িয়া থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মীয়মান ‘অরেঞ্জ লাইন’ করিডোরে মেট্রো টানেল তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এক অভিনব প্রযুক্তি—‘বক্স-পুশিং’। এটি দেশের মধ্যে অন্যতম বিরল প্রয়োগ এবং কলকাতা শহরের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা।

Advertisement
‘বক্স-পুশিং’-এ তৈরি হচ্ছে মেট্রো টানেল, এগোচ্ছে নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট, চালু কবে? কলকাতা মেট্রো।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • কলকাতার মেট্রো পরিকাঠামোয় যুক্ত হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়।
  • নিউ গড়িয়া থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মীয়মান ‘অরেঞ্জ লাইন’ করিডোরে মেট্রো টানেল তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এক অভিনব প্রযুক্তি—‘বক্স-পুশিং’।

কলকাতার মেট্রো পরিকাঠামোয় যুক্ত হচ্ছে এক নতুন অধ্যায়। নিউ গড়িয়া থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত নির্মীয়মান ‘অরেঞ্জ লাইন’ করিডোরে মেট্রো টানেল তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে এক অভিনব প্রযুক্তি—‘বক্স-পুশিং’। এটি দেশের মধ্যে অন্যতম বিরল প্রয়োগ এবং কলকাতা শহরের জন্য সম্পূর্ণ নতুন এক অভিজ্ঞতা।

এই পদ্ধতিতে, কংক্রিট এবং রিইনফোর্সড সিমেন্ট দিয়ে তৈরি ১৪টি বিশাল বাক্সকে হাইড্রোলিক জ্যাকের সাহায্যে ধাপে ধাপে ঠেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মাটির নীচে। প্রতিটি বক্সের মাপ তিনটি মেট্রো কামরার সমান এবং এর দৈর্ঘ্য ৯.৬ মিটার, চওড়া ১৪.৮৫ মিটার ও গভীরতা ৭.৩৫ মিটার। প্রতিটি বক্সের আয়তন প্রায় ১,০৪৭ ঘনমিটার, যেখানে একটি এলএইচবি কোচের গড় আয়তন ৩০৮ ঘনমিটার।

এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল— ভিআইপি রোড এবং বিমানবন্দরের ব্যস্ত প্রবেশপথের উপর দিয়ে যান চলাচল একেবারেই ব্যাহত না করেই মেট্রো টানেল নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে। ‘কাট-অ্যান্ড-কভার’ বা টানেল বোরিং মেশিন (TBM)-এর মতো প্রচলিত পদ্ধতি এখানে ব্যবহার করা যেত না, কারণ এতে প্রধান সড়কটি বন্ধ রাখতে হত অথবা পর্যাপ্ত টানেলের দৈর্ঘ্য না থাকায় টিবিএম প্রযুক্তিও অসুবিধাজনক হতো।

এর পরিবর্তে আরভিএনএল (রেল বিকাশ নিগম) সিদ্ধান্ত নেয় বক্স-পুশিং পদ্ধতি ব্যবহার করার, যা ইতিপূর্বে বেঙ্গালুরু মেট্রো এবং কলকাতার নজরুল তীর্থের কাছে একটি পথচারী আন্ডারপাস তৈরিতে প্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রতিটি বক্স ঢালাই করা হচ্ছে ৫০ মিটার দীর্ঘ থ্রাস্ট বেডে। একটি বক্স নির্মাণে সময় লাগছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ দিন। বর্তমানে চারটি বক্স নির্মিত হয়ে গিয়েছে, পঞ্চমটির কাজ চলছে।

আরভিএনএল সূত্রে জানা গেছে, এই টানেলটি হবে একটি একক টানেল— অর্থাৎ নিউ গড়িয়া এবং বিমানবন্দরের দিক থেকে আসা ও যাওয়া দুই ট্রেনই একই টানেল দিয়ে চলবে। সাধারণত টিবিএম দিয়ে নির্মিত টানেলে দুটি পৃথক পথ থাকে, তবে এখানে জায়গার সীমাবদ্ধতা এবং যান চলাচলের গুরুত্ব বিবেচনায় এই বিশেষ পদ্ধতি বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের গোড়ায় এবং ১৮ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৬-১৭ সালের মধ্যে ৩০ কিমি দীর্ঘ এই করিডোরটি চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বিলম্ব ঘটে। বর্তমানে নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত ৫.৪ কিমি অংশে যাত্রী পরিষেবা চলছে। রুবি থেকে বেলেঘাটা পর্যন্ত ৪.৪ কিমি রুটে ট্রায়াল রান চলছে। বেলেঘাটা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশের নির্মাণ কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে এবং তা ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির হয়েছে।


 

POST A COMMENT
Advertisement