scorecardresearch
 

কসবাকাণ্ডে গ্রহীতাদেরই দুষলেন অতীন, 'ভুয়ো টিকা নিয়ে খবরই দেয়নি'

কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্র ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। এবার  এই ঘটনায় কার্যত বিস্ফোরক কলকাতা পৌরসভা। এদিন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ও বিধায়ক অতীন ঘোষ জানান, কসবা এলাকায় বহু মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাছে কোন মেসেজ বা তথ্য কিছুই দেওয়া হয়নি।

Advertisement
অতীন ঘোষ অতীন ঘোষ
হাইলাইটস
  • কসবাকাণ্ডে গ্রহীতাদেরই দুষলেন অতীন
  • 'ভুয়ো টিকা নিয়ে খবরই দেয়নি'
  • দাবি করলেন অতীন

কসবা ভুয়ো ভ্যাকসিন কেন্দ্র ঘিরে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য। এবার  এই ঘটনায় কার্যত বিস্ফোরক কলকাতা পৌরসভা। এদিন কলকাতা পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য ও বিধায়ক অতীন ঘোষ জানান, কসবা এলাকায় বহু মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। কিন্তু তাঁদের কাছে কোন মেসেজ বা তথ্য কিছুই দেওয়া হয়নি। রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং কলকাতা পৌরসভার ছাড়া ভ্যাকসিনের কোন বিষয়ে বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। মিথ্যা প্রচার অসত্য প্রচার করা হচ্ছে। মিমি চক্রবর্তীর ভ্যাক্সিনেশন হবার পর কলকাতা পৌরসভার কাছে এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য বা নজরে এসেছিল। মোট ১১০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন ওই কেন্দ্র থেকে। তাদের মধ্যে ৭০ জনের রিপোর্ট কলকাতা কর্পোরেশনের কাছে এসে পৌঁছেছে। সেই রিপোর্টে বেশ এসেছে কয়েক জনের শরীরে স্কিনের দাগ মিলেছে। গা ব্যথা রয়েছে অনেকের। তাছাড়া আর কোনও বিশেষ কোন অসুবিধা নেই।

অতীন ঘোষ জানান, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে রেজিস্ট্রেশন করাতে হয়। এটা জানার পরেও প্রতারকদের কাছ থেকে যারা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা সবাই শিক্ষিত মানুষ। যারা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন তারা কখনোই কলকাতা পৌরসভাকে জানায়নি। ভ্যাকসিনের মধ্যে আদৌ কি ছিল, সেটা জানতে ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সেই তথ্য আসলে পুরোটা জানা যাবে। আসলে এই ভ্যাকসিনের মধ্যে কি কি রয়েছে। এ ধরনের ভুয়া ভ্যাকসিন চলছিল তা খবর ছিল না কলকাতা পৌরসভার কাছে।  সাধারণত কোভিড ভ্যাকসিন যে রকম হয় সে রকম ছিলনা। ডাষ্টের সঙ্গে লিকুইড মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। কোন তারিখ ছিল না। ব্যাচ নাম্বার বা এক্সপায়ারি ডেট কিছুই ছিল না। এমনকি কোম্পানির নামও ছিল না এই ভ্যাকসিনে। গ্রীন একটি কাগজে মোড়ানো শুধুমাত্র কোভিশিল্ড লেখা ছিল। পাউডার এর সঙ্গে জল মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে। একে বলা হয় রিকম্বিনেশন ভ্যাকসিন। সাধারণত কোভিশিল্টের সাইজ একটু বড় হয়। তবে ভুয়ো কোভিশিল্ডের সাইজ অনেকটাই ছোট। সরলা ডেভলপমেন্ট মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রাইভেট লিমিটেড কসবায় এই ক্যাম্পের জন্য এই সংস্থা টাকা দিয়েছিল প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার টাকা।

Advertisement

Advertisement