শুভেন্দু অধিকারী।-ফাইল ছবিবার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে কলকাতা পুরসভার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, সঠিকভাবে নথি যাচাই না করেই ঢালাওভাবে বার্থ সার্টিফিকেট (Birth Certificate) বিলি করছে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (KMC)। উদ্দেশ্য একটাই, বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR) পর্বে ভোটার তালিকায় সন্দেহভাজন নামগুলি টিকিয়ে রাখা।
শুভেন্দু এক্স (X) হ্যান্ডেলে লেখেন, 'কলকাতা পুরসভা অবৈধ ও অনৈতিকভাবে বার্থ সার্টিফিকেট দিচ্ছে। এটি প্রকৃত নাগরিকদের জন্য নয়, বরং ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে থাকা সন্দেহজনক ব্যক্তিদের সুবিধার্থে।'
তাঁর আরও অভিযোগ, 'এটি ভোটার তালিকা কারসাজি এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার একটি স্পষ্ট প্রচেষ্টা।' শুভেন্দুর বক্তব্য, 'বার্থ সার্টিফিকেট হল আইনি নথি যা সাধারণত নবজাতক বা কিছু বিরল ক্ষেত্রে দেরিতে নিবন্ধনের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু এটি কখনও রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারযোগ্য নথি নয়।'
It has come to my knowledge that the Kolkata Municipal Corporation (KMC) is indulging in illegal, immoral, and unethical mass distribution of Birth Certificates; not meant for genuine citizens, but to facilitate and accommodate suspicious individuals who are at the risk of being… pic.twitter.com/zWYTCimjQr
— Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) November 6, 2025
বিরোধী দলনেতা জানান, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তিনি আরটিআই (তথ্যের অধিকার আইন) আবেদন করেছেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে। ওই আরটিআইয়ের মাধ্যমে তিনি জানতে চেয়েছেন, গত ৩০ দিনে জারি হওয়া বার্থ সার্টিফিকেটের সংখ্যা কত, কলকাতা পুরসভার বাইরের ব্যক্তিদের দেওয়া শংসাপত্রের পরিমাণ। দেরিতে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় জারি হওয়া বার্থ সার্টিফিকেট, বিশেষত ২০০৭ সালের আগের জন্মও সাম্প্রতিক নবজাতকের বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যুর পরিসংখ্যান।
এছাড়া, ৬ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর ২০২৫ এবং একই সময়ের ২০২৪ সালের তথ্যের তুলনামূলক হিসাবও তিনি চেয়েছেন কলকাতা পুর কমিশনারের কাছে। শুভেন্দুর স্পষ্ট হুঁশিয়ারি, '১৯৬৯ সালের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইনের নিয়ম ভঙ্গ করে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সুবিধা দেওয়া হলে তা সহ্য করা হবে না। আমি ভারতের নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি এই অপকর্মের নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য।'