সম্প্রতি পার্কিং চার্জ নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। বর্ধিত পার্কিং চার্জ কমিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কলকাতার কিছু জায়গায় অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। পার্কিয়ের জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেওয়ার পাশাপাশি অভিযোগ, তারা POS মেশিনও ব্যবহার করছে না৷
ইদ এবং পয়লা বৈশাখের কেনাকাটার জন্য কয়েকদিন ধরে এসপ্ল্যানেড এলাকায় প্রায় সমস্ত পার্কিং স্পট ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। বাইকের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টায় ২০ টাকা এবং গাড়ির আকারের উপর নির্ভর করে প্রতি ঘন্টা ৩০ থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কিছু লোকের অভিযোগ, ঘণ্টায় ১০ টাকা বৈধ চার্জ থাকা সত্ত্বেও ৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। গরমের মধ্যে হয়রানি এড়াতে ওই রেটই মেনে নিতে হচ্ছে অনেককেই। একই পরিস্থিতি মিডলটন স্ট্রিট, মির্জা গালিব স্ট্রিট, রাসেল স্ট্রিট এবং জীবন দীপের কাছের ছবিও একই রকম। রাসেল স্ট্রিটে পার্কিং জোনে আগেই বলে দেওয়া হচ্ছে অতিরিক্ত চার্জের কথা। রাজি হলে তবেই পার্কিংয়ের জায়গা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।
কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মোটরবাইকের ক্ষেত্রে ৫ টাকা এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১০ টাকা প্রতিঘণ্টার বৈধ পার্কিং চার্জ। বাস ও লরির জন্য প্রতি ঘণ্টা ২০ টাকা। রাতে বাইকে ১০ টাকা ঘণ্টা। ও গাড়ির জন্য ৩০ টাকা বৈধ চার্জ। এর ওপরে কোনও বাড়তি টাকা নেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এছাড়াও পিওএস মেসিনের মাধ্যমেই নিতে হবে পার্কি চার্জ। কিন্তু অভিযোগ, নেওয়া হচ্ছে নগদে। মেশিনের ব্যবহার করা হচ্ছে না। অনেকেই ইউপিআই-এর মাধ্যমে পার্কিং চার্জ দিতে চাইলেও তা পারছেন না। অনেক পার্কিং কর্মী নিজের ইউপিআই নম্বরে টাকা নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠছে।
কলকাতা পুরসভার পার্কিং বিভাগ সূত্রে খবর, নিয়ম বলে প্রত্যেক ব্যক্তিকে অবশ্যই মেশিনের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে। এবং রশিদ পাবে। পার্কিংয়ের অনিয়ম মেটাতে প্রমাণ সহ অভিযোগ করার নিদান দিয়েছে পুরসভা। যারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তাঁরা কলকাতা পুরসভার 22861000 নম্বরে পার্কিং সুপারভাইজার-এর কাছে 2829 নম্বরের এক্সটেনশনে অভিযোগ জানাতে পারবেন। পুরসভা বিষয়গুলির তদন্ত করার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন-'শহিদ মিনারে এসে বকেয়া মিটিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রী', হালখাতা প্রকাশ সরকারি কর্মীদের