কলকাতা পুরসভা শহর সংলগ্ন এলাকাগুলিতে অঞ্চলে বাড়ি তৈরির নিয়মে বড় পরিবর্তন আনল। এবার থেকে কাঁচা রাস্তা বা ‘কমন প্যাসেজ’-এর ধারে বাড়ি তুলতে হলে বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের সঙ্গেই দিতে হবে এককালীন উন্নয়ন ফি (ডেভেলপমেন্ট ফি)।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এক কাঠা পর্যন্ত জমিতে বাড়ি তুলতে প্রতি বর্গফুটে ৫ টাকা, এক থেকে তিন কাঠা জমিতে ৮ টাকা, তিন কাঠার বেশি জমিতে ১০ টাকা হারে ফি ধার্য হবে।
পুরসভার অফিসাররা জানিয়েছেন, এই নিয়ম শহরে প্রযোজ্য হলেও মূলত শহরতলির এলাকাগুলি, যেমন যাদবপুর, কসবা, গরফা, মুকুন্দপুর, ই এম বাইপাস লাগোয়া অঞ্চল, বেহালা, জোকা, ঠাকুরপুকুর ও গড়িয়া এর আওতায় বেশি পড়বে। কারণ, এসব অঞ্চলে এখনও বহু কাঁচা রাস্তা বা নথিভুক্ত নয় এমন কমন প্যাসেজ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১-১০০ নম্বর ওয়ার্ডের পুরনো কলকাতায় এ ধরনের সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে। কিন্তু যাদবপুর, গরফা বা বেহালার মতো এলাকা কলকাতা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয় ১৯৮৫ সালের পরে এবং ঠাকুরপুকুর ও জোকা আসে ২০১৫ সালে। তাই এই এলাকাগুলির পরিকাঠামো এখনও পুরোপুরি তৈরি হয়নি। নতুন নিয়মের মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়ার খরচের পাশাপাশি রাজস্ব বাড়াতে করতে চাইছে পুরসভা।
পুরসভা সূত্রে জানা গেছে, দেখা যায় বড় জমি ভাগ করে প্লট বিক্রি করা হয়, বা পুকুর ভরাট করে রাস্তা তৈরি হয়। এসব রাস্তা পুর-নথিতে নেই। অথচ স্থানীয়রা পাকা রাস্তা, নিকাশি, আলো, জল চেয়ে আবেদন জানান। এতদিন নাগরিক স্বার্থে পুরসভা খরচ বহন করত। এখন উন্নয়ন ফি থেকে সেই অর্থসংস্থান হবে।
পুর কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, জমির মালিকরা রাস্তার জন্য জমির অংশ দান করলে সেই প্রক্রিয়া বজায় থাকবে। তবে উন্নয়ন ফি দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে, কাঁচা রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা নতুন বাড়িগুলিতে আলো, জল, নিকাশি ও পাকা রাস্তার পরিষেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।