Illegal Relationship: স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি, দুই সন্তান-সহ কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী খড়দহের ব্যবসায়ী 

প্রথমে স্ত্রীকে খুন, তারপর দুই সন্তানকেও। এবং তারপর আত্মহত্যা। খড়দহের এই ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার এমএস মুখার্জি রোড এলাকার ঘটনা। একই পরিবারের চার জনের দেহ উদ্ধারের পর এলাকা থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ।

Advertisement
স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে অশান্তি, দুই সন্তান-সহ কুপিয়ে খুন করে আত্মঘাতী খড়দহের ব্যবসায়ী ফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • প্রথমে স্ত্রীকে খুন, তারপর দুই সন্তানকেও।
  • এবং তারপর আত্মহত্যা।

প্রথমে স্ত্রীকে খুন, তারপর দুই সন্তানকেও। এবং তারপর আত্মহত্যা। খড়দহের এই ঘটনা রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার এমএস মুখার্জি রোড এলাকার ঘটনা। একই পরিবারের চার জনের দেহ উদ্ধারের পর এলাকা থমথমে। ঘটনাস্থলে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত কাপড় ব্যবসায়ীর নাম বৃন্দাবন কর্মকার। স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন খড়দহে। রবিবার পরিবারের চার জনের দেহ মেলে। পাশে পাওয়া গিয়েছে একটি চিরকুট। সেটি ‘সুইসাইড নোট’ বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়েছেন, এমন সন্দেহের বশে এই খুন। যে তথ্য উঠে আসছে, তা থেকে জানা যাচ্ছে, স্ত্রীর ‘অবৈধ সম্পর্কের’ কথা জানতে পেরে তাঁকে ‘সাবধান’ করেন বৃন্দাবন। কিন্তু স্ত্রী অন্য সম্পর্ক থেকে বেরোতে পারেননি। এই রাগেই স্ত্রীকে খুন করেন ব্যবসায়ী। খুনে ব্যবহার হয় ধারালো অস্ত্র।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি চিরকুট মেলে বাড়িতে। তাতেই স্ত্রীর অন্য সম্পর্কের কথা লেখা রয়েছে। তবে হাতের লেখা বৃন্দাবনের কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার একটি দোকান থেকে রুটি কিনতে দেখা যায় বৃন্দাবনকে। তার পর আর তাঁকে দেখা যায়নি। বৃন্দাবন এবং স্ত্রীর পাশাপাশি, আট বছরের ছেলে এবং ১৬ বছরের মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়েছে। চারটি দেহ ময়নাতদন্তে পাঠাচ্ছে পুলিশ।

খড়দা পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের করবী টাওয়ার্স ফ্লাট থেকে চারটি দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গেছে বৃন্দাবন কর্মকার নামে ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রী, এক ছেলে (৮) ও এক মেয়েকে (১৬) খুন করে আত্মঘাতী হন। রবিবার সকালে ওই ফ্ল্যাটের জলের পাম্প চালানোর ব্যক্তি যখন বৃন্দাবনের ঘরে যায় তাকে বেশ কয়েকবার ডাকতে থাকে কিন্তু ভেতর থেকে সাড়া না পেয়ে তিনি আশপাশের লোককে জানান। পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয় কাউন্সিলর ছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় খড়দা থানার পুলিশকেও। পরে পুলিশ ঘর খুলতেই দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহগুলো। বৃন্দাবন পেশায় একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী। ব্যারাকপুরে তার একটু দোকান আছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement