সেনা-কলকাতা পুলিশ বিতর্কে নয়া মাত্রা। সেনাবাহিনীর ট্রাকের চালকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। জানিয়ে দিল কলকাতা পুলিশ। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কলকাতা পুলিশ। তাদের তরফে এও জানানো হয়, কেউ কেউ এই ঘটনা নিয়ে ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে।
কলকাতা পুলিশের এক্স হ্যান্ডেলে সকালের ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, 'ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন সংক্রান্ত একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে পুলিশের পদক্ষেপ নিয়ে কিছু মহল থেকে নানা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, উক্ত ট্রাকটি বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছিল এবং ট্রাফিক লেনের নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছিল। অপর একটি গাড়ি চালকের তৎপরতার কারণে অল্পের জন্য একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
এটি স্পষ্টতই ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা এবং দোষী চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। জনসাধারণকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যে, অযাচাইকৃত তথ্য দ্বারা বিভ্রান্ত হবেন না, সরকারি সূত্র থেকে প্রকাশিত সঠিক তথ্যের ওপর নির্ভর করুন।'
অর্থাৎ পুলিশের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেনার ট্রাকটি বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছিল। নিয়মও মানেননি চালক। তার জন্য সেই সেনাকর্মীকেই দায়ি করেছে পুলিশ।
সোমবার মেয়োরোডে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ খুলে দেয় সেনা। অভিযোগ, তাদের জায়গা থেকে উঠে যাওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করা হলেও তাতে সাড়া মেলেনি। সেজন্য বাধ্য হয়ে মঞ্চ খোলা হয়েছে। এদিকে এর প্রতিবাদে সেই মঞ্চে গিয়ে বিজেপিকে দোষারোপ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তখন থেকে সেনা ও কলকাতা পুলিশের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়। সেই রেশের মধ্যেই মঙ্গলবার সকালে রাইটার্স বিল্ডিংয়ের সামনের রাস্তায় সেনার ট্রাক থামায় ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা। তাদের তরফে অভিযোগ করা হয়, সেনার ট্রাকটি ট্রাফিক মানেনি। আইন ভেঙেছে। দাবি করা হচ্ছে, ওই ট্রাকের পিছনেই ছিল কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মার গাড়ি। সেই গাড়়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারত।