Kolkata Police: থ্রি নট থ্রি অতীত, এবার কলকাতা পুলিশের হাতে থাকবে AK-47 এর মডার্ন ভার্সন; বিরাট পদক্ষেপ

বহু দশকের পুরোনো 'থ্রি নট থ্রি' বন্দুকের বদলে এবার নতুন অ্যাসল্ট রাইফেল পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি তিরুচিরাপল্লী নির্মিত নতুন ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল (TAR) আগামী বছরের শুরুতে দফায় দফায় শহরে পৌঁছবে বলে জানা গেছে। কলকাতা পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনার জানান, কনসাইনমেন্টগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। এবং তার সঙ্গে সঙ্গেই বিলি শুরু হবে।

Advertisement
থ্রি নট থ্রি অতীত, এবার কলকাতা পুলিশের হাতে থাকবে AK-47 এর মডার্ন ভার্সন; বিরাট পদক্ষেপদেশীয় আধুনিক রাইফেল পাচ্ছেন কলকাতা পুলিশকর্মীরা।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • বহু দশকের পুরোনো 'থ্রি নট থ্রি' বন্দুকের বদল এবার নতুন অ্যাসল্ট রাইফেল পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।
  • অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি তিরুচিরাপল্লী নির্মিত নতুন ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল (TAR) আগামী বছরের শুরুতে দফায় দফায় শহরে পৌঁছবে বলে জানা গেছে।

বহু দশকের পুরোনো 'থ্রি নট থ্রি' বন্দুকের বদলে এবার নতুন অ্যাসল্ট রাইফেল পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ। অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি তিরুচিরাপল্লী নির্মিত নতুন ত্রিচি অ্যাসল্ট রাইফেল (TAR) আগামী বছরের শুরুতে দফায় দফায় শহরে পৌঁছবে বলে জানা গেছে। কলকাতা পুলিশের এক ডেপুটি কমিশনার জানান, কনসাইনমেন্টগুলো পর্যায়ক্রমে আসবে। এবং তার সঙ্গে সঙ্গেই বিলি শুরু হবে।

নতুন TAR রাইফেলের অন্যতম বড় সুবিধা হলো এর হালকা ওজন। যেখানে পুরনো 'থ্রি নট থ্রি' রাইফেলের ওজন ছিল প্রায় ৫.৫ কেজি। সেখানে TAR কমপক্ষে ২ কেজি হালকা। পাশাপাশি এটি সিঙ্গল-শট ও বার্স্ট ফায়ার, দু’ধরনের মোডেই চালানো যায়। এবং প্রায় ৫০০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও নিখুঁতভাবে আঘাত করতে সক্ষম। রাইফেলটির মডুলার ডিজাইন, ভাঁজযোগ্য বাট ও কম ওজন এটিকে টহলদারি বা গার্ড ডিউটির জন্য আদর্শ করে তোলে।

আধুনিকীকরণের অংশ হিসেবে কলকাতা পুলিশ ইতিমধ্যেই পুরনো অস্ত্রগুলি পর্যায়ক্রমে বাদ দিয়ে INSAS এবং SLR রাইফেল ব্যবহার শুরু করেছে। তবে TAR-এ রূপান্তরকে কর্মকর্তারা সময়োপযোগী পদক্ষেপ বলছেন। বিশেষ করে ২৬/১১ মুম্বই হামলার পর পুলিশ বাহিনীর আধুনিক অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা নতুন করে সামনে আসে।

BSF ও CRPF-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় বাহিনী ইতোমধ্যেই TAR ব্যবহার করছে। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, ঝাড়খণ্ড এবং মধ্যপ্রদেশ পুলিশও এই রাইফেল সংগ্রহ করেছে। কলকাতা পুলিশও TAR-এর পাশাপাশি ইশাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে প্রায় ২০০টি স্বয়ংক্রিয় 9mm 1A পিস্তল কিনছে। তাছাড়া মধ্যপ্রদেশের টেকানপুর টিয়ার স্মোক ইউনিট থেকে অ-প্রাণঘাতী গোলাবারুদ সংগ্রহের পরিকল্পনাও রয়েছে।

পুলিশকর্তাদের মতে, এই ধরনের আপগ্রেড শুধু বাহিনীর সক্ষমতাই বাড়ায় না, মাঠে থাকা কর্মীদের মনোবলও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করে। সশস্ত্র অপরাধী বা জঙ্গি মোকাবিলা করতে হলে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র অপরিহার্য। আধুনিক অস্ত্র হাতে থাকলে পুলিশ সদস্যরা আরও আত্মবিশ্বাসীভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

 

POST A COMMENT
Advertisement