এসপ্ল্যানেড বাস টার্মিনাস স্থানান্তরিত হতে পারে এমন কোনও জায়গা দিতে পারবে বন্দর কর্তৃপক্ষ? শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট একথা জানতে চেয়েছে। ২০০৭ সালেই বাস টার্মিনাস সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ ৪ আগস্ট পরবর্তী শুনানিতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বেঞ্চ অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেলকে বন্দর কর্তৃপক্ষকে নোটিশ দিতে বলেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শুক্রবার একটি হলফনামাও জমা দিয়েছে, যে ময়দানে পার্কিংয়ের অনুমতি দেওয়ার জন্য সংস্থা এবং ক্লাবগুলির কাছ থেকে অনেক অনুরোধ মুলতুবি রয়েছে। পরিবেশ কর্মী সুভাষ দত্ত এই বিষয়টির অন্যতম পক্ষ এবং যিনি শুক্রবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বন্দর এলাকায় বড় বড় জমি রয়েছে এবং সেগুলি পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। যেহেতু প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ময়দানের তত্ত্বাবধায়ক, তাই আদালত তাদের মতামতও চেয়েছিল।
সারা দিনে ধর্মতলা চত্বর থেকে প্রায় তিনশো আন্তঃরাজ্য বাস চলাচল করে। ২০০৭ সালে কলকাতা হাইকোর্ট ধর্মতলা ও বাবুঘাট থেকে বাস টার্মিনাস সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (নিরি)-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানায় সরকার। কিন্তু সেখানেও হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।
২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার আদালতকে জানিয়ে দেয়, এসপ্ল্যানেড ও বাবুঘাট থেকে বাস টার্মিনাস সরানো হবে। কিন্তু তার পর থেকে বিভিন্ন টানাপড়েন চললেও বাসস্ট্যান্ড সরানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। পরিবহণ কর্তাদের দাবি, এর পিছনে প্রধান কারণ, এসপ্ল্যানেড ও বাবুঘাটের মতো শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক মহলের দ্বিমত।