বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতা। আজ, বুধবারও জল নামেনি। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে এখনও জল জমে রয়েছে। জল কতক্ষণে নামবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কলকাতা পুরসভা এদিন জানিয়েছে, দিনরাত কাজ করছেন নিকাশি বিভাগের কর্মীরা। জল নামছে, তবে নামার গতি কম।
কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (নিকাশি) তারক সিং বললেন, 'জল এখনও জমে রয়েছে। আর্মহার্স্ট স্ট্রিট, বালিগঞ্জ, ঠনঠনিয়া, গড়িয়াহাট, যাদবপুর ও তারাতলার কিছু অংশে। নিম্নচাপের কারণে সমুদ্রের জলচ্ছ্বাসের কারণে গঙ্গায় চাপ বেড়েছে। সেইসঙ্গে জোয়ারের জল বেড়েছে। তাই ৮২টা পাম্পিং স্টেশন সক্রিয় রেখেও পুরোপুরি জল এখনও নামানো সম্ভব হয়নি। জল নামছে ধীর গতিতে। তবে আশাকরা যাচ্ছে, আজ বেলার দিকে কলকাতার সব জল নেমে যাবে।'
মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, তিনি জীবনে এমন বৃষ্টি দেখেননি। পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বলেন, ৩০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তিনি এই বৃষ্টিকে দেরাদুন ও জম্মুতে মেঘভাঙা বৃষ্টির সঙ্গে তুলনা করেন। গতকাল জলমগ্ন শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ও জলে ডুবে ৯ জনের মৃত্যু হয়। এর জন্য সিইএসসি-র গাফিলতিকে দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। পাশাপাশি তিনি নিউটাউন-রাজারহাট ও সল্টলেক এলাকায় জল জমে থাকার জন্য মেট্রোর নির্মাণকে দায়ী করেন। তাঁর অভিযোগ, নির্মাণ সামগ্রীর আবর্জনায় নর্দমা বুজে গিয়ে বিপত্তি হয়েছে।
গতকাল বিপর্যয়ের সময় সকাল থেকে মেয়র ফিরহাদ হাকিম পুরসভার কন্ট্রোলরুমে ছিলেন। পরে তিনি কোমরজলে নেমে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। পুরসভার নিকাশি বিভাগ জানিয়েছে, আর যদি ভারী বৃষ্টি না হয়, তাহলে আজকের মধ্যে অধিকাংশ এলাকার জল নেমে যাবে।