কলকাতার একাধিক থানায় মনোজিতের নামে অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। কসবা, আনন্দপুর, গড়িয়াহাট ও কালীঘাট থানায় একের পর এক এফআইআর দায়ের হয়েছে তার নামে। অভিযোগগুলো অত্যন্ত গুরুতর। শ্লীলতাহানি, ভয় দেখানো, মারধর এমনকি খুনের হুমকির মতো অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
মনোজিতের একসময়ের বন্ধু তিতাস মান্না জানিয়েছেন, ২০১৩ সাল থেকেই মনোজিতের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ ওঠা শুরু হয়েছে। সেবছরই একজনকে আক্রমণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। যার ফলে ওই ব্যক্তি গুরুতর আহত হন। একই বছর আরও এক ব্যক্তিকে ছুরি মারার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপর ২০১৬ সাল পর্যন্ত শান্তই ছিল মনোজিৎ। কিন্তু তার হিংসাত্মক আচরণ বন্ধ হয়নি।
২০২২ সালে কসবার ল কলেজের টিএমসিপি-র এক সদস্য কলেজের ভাইস প্রিন্সিপালকে একটি অভিযোগপত্র দেন, যেখানে মনোজিতের অপরাধমূলক অতীতের কথা তুলে ধরে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়। নিরাপত্তার কারণে সেই অভিযোগপত্র গোপনে জমা দিয়েছিল সে।
তবে, এত অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। কলকাতা পুলিশের কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, 'এই ঘটনাগুলির তদন্ত চলছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ অবশ্যই নেওয়া হবে।'
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এত অভিযোগ সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন। একজন অপরাধপ্রবণ ব্যক্তি যদি মুক্তভাবে ঘুরে বেড়াতে পারে, তবে এটা হয় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নয়তো রাজনৈতিক প্রভাবের ফল।'