আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের তদন্তে চার দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সিবিআই এখনও তেমন কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি করতে পারেনি বলেই সূত্রের খবর। সিবিআইয়ের তদন্তের এই ধীরগতিতে ক্ষোভ বাড়ছে। ইতিমধ্যে সিবিআই বেশ কয়েকজনকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং অপরাধের স্থানে একাধিকবার পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র কলকাতা পুলিশের একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তদন্তের মূল ধাপ হিসেবে, সিবিআই শনিবার সল্টলেকের চতুর্থ ব্যাটালিয়ন ব্যারাক পরিদর্শন করেছে, যেখানে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় থাকত। সঞ্জয় রায়কে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অপরাধের দিন রাত ৯টায় সঞ্জয় ব্যারাকে ফিরে যায়। তবে সেখান থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়নি সিবিআই।
অপরাধের সঙ্গে যুক্ত প্রমাণ হিসেবে শনিবার কিছু নতুন নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাক্তন আরজি কর অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকেও সিবিআই অফিসে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁকে শনিবার সিবিআই অফিসে ফের ডাকা হয় এবং তাঁকে সেখান থেকে রাত ১১:১৫ টায় ছেড়ে দেওয়া হয়। আগামী রবিবার তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে, তারা তদন্তে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে অন্তর্ভুক্ত করবে, যার মাধ্যমে তদন্তের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। যদিও সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরির রিপোর্ট এখনও আসেনি, যা নির্ধারণ করতে পারবে অপরাধটি একাধিক ব্যক্তি করেছে কিনা।
তদন্তের বিষয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল জনগণকে সিবিআই-এর প্রতি আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "এই মামলার তদন্তকারী সংস্থার ওপর আস্থা রাখুন। তারা বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নিয়ে আসবে। আমাদের পুলিশ অফিসাররা তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করেছেন।"
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আরজি কর অপরাধের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল ৪টা থেকে সমস্ত রাজ্য থেকে দুঘন্টা অন্তর অন্তর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির রিপোর্ট চেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সিবিআই-এর ওপর জনমানসে আস্থা ফেরাতে দ্রুত এবং কার্যকরী তদন্তের প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।