Kolkata Rats Alerts: বড় বিপদে ঢাকুরিয়া ব্রিজ, খাবারের দোকানগুলিকে নোটিস পাঠাবে পুরসভা

নিজের এলাকার ইঁদুরের উৎপাত নিয়ে শুক্রবার 'টক টু মেয়র' ফোন ইন অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে সুরাহা চাইলেন কলকাতার এক ব্যাক্তি। দক্ষিণ কলকাতার ওই বাসিন্দা জানান, ইঁদুরের উৎপাতে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। ওই এলাকার খাবারের দোকানগুলি তাদের বর্জ্য রাস্তায় ফেলে দেয়, যেকারণেই ইঁদুরের উৎপাত বাড়ছে।

Advertisement
বড় বিপদে ঢাকুরিয়া ব্রিজ, খাবারের দোকানগুলিকে নোটিস পাঠাবে পুরসভাফাইল ছবি।
হাইলাইটস
  • নিজের এলাকার ইঁদুরের উৎপাত নিয়ে শুক্রবার 'টক টু মেয়র' ফোন ইন অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে সুরাহা চাইলেন কলকাতার এক ব্যাক্তি।
  • দক্ষিণ কলকাতার ওই বাসিন্দা জানান, ইঁদুরের উৎপাতে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।

নিজের এলাকার ইঁদুরের উৎপাত নিয়ে শুক্রবার 'টক টু মেয়র' ফোন ইন অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে সুরাহা চাইলেন কলকাতার এক ব্যাক্তি। দক্ষিণ কলকাতার ওই বাসিন্দা জানান, ইঁদুরের উৎপাতে তাঁরা সমস্যায় পড়ছেন। ওই এলাকার খাবারের দোকানগুলি তাদের বর্জ্য রাস্তায় ফেলে দেয়, যেকারণেই ইঁদুরের উৎপাত বাড়ছে।

ঢাকুরিয়ার মহারাজ ঠাকুর রোডের ৭৫ বছর বয়সী লোকটি সাপ্তাহিক ফোন-ইন প্রোগ্রাম টক টু মেয়রের সময় হাকিমকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেন, ইঁদুরেরা ড্রেনগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি সেখানকার খাবারের দোকানগুলো যেন রাস্তায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ করে দেয় তা নিশ্চিত করার জন্য মেয়রের কাছে অনুরোধ করেছেন।

কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, তাঁর এলাকা চেতলাতেও এই সমস্যা রয়েছে। যেখানে যেখানে খাবারের দোকান রয়েছে, সেখানে ইঁদুরের সংখ্যা বেশি। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, পুরসভা খাবারের স্টলের মালিকদের নোটিশ পাঠাবে যাতে তারা রাস্তায় খাবারের বর্জ্য না ফেলে। তিনি বলেন, 'যেখানে খাবারের দোকান আছে সেখানে ইঁদুরের সংখ্যা বেশি। আমরা রাস্তা পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করব।'

শহরের স্থপতিরা জানিয়েছেন, পুরনো বাড়ির আর্দ্র ও দুর্বল দেয়াল ভেদ করে ইঁদুর ফুটো করে। জরাজীর্ণ বাড়ি এবং প্রচুর ফাটল আছে এমন বাড়ি শহরে ইঁদুরের উৎপাতের জন্য একটি উদ্বেগের বিষয়। দেখা যাচ্ছে, কলকাতার বহু ফুটপাথ ধসে গেছে। ইঁদুরের দল মাটি খোঁড়ায় পেভার ব্লকগুলো সরে গেছে। এমনকি মেয়র ফিরহাদ হাকিম নিজেই জানিয়েছিলেন যে, ইঁদুরের আতঙ্ক এতটাই মারাত্মক হয়ে উঠেছে যে কলকাতার অনেক রাস্তাই তলিয়ে যাবে। তাঁর কথায়, 'আমি আমার বাড়িতে একই সমস্যা সম্মুখীন। আমার বাড়ির কাছে একটা মিষ্টির দোকান আছে। খাবারের সন্ধানে ইঁদুররা ঘুরে বেড়ায় জায়গাটাতে। আমি তাদের বলেছি রাস্তায় কিছু না ফেলতে। ঢাকুরিয়া সেতুর ঢালে মাটি খুঁড়ে ফেলেছে ইঁদুর।'

সেতুর ডেক বা প্রধান পৃষ্ঠ, যা সরাসরি রেলপথের উপর অবস্থিত পিয়ারের ওপর রয়েছে। কিন্তু ঢাল এবং মাটির মধ্যকার ফাঁক বালি ও মাটি দিয়ে ভরাট করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে পুরসভা সূত্রে। এক্সাইড ক্রসিংয়ের কাছেও একটি ফুটপাথের অংশে গর্ত হয়ে গেছে। কারণ ক্রমাগত ইঁদুরেরা মাটি খুঁড়ছে। ঢাকুরিয়া ব্রিজের বিষয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'ইঁদুরের উপদ্রব ঠেকাতে মাটিতে কাচের টুকরো ঢোকানো হয়েছে।'

Advertisement

শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহকারী CESC-এর একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, ইঁদুরগুলি বিদ্যুৎ বিতরণ বাক্সগুলিতে ঘন ঘন বিঘ্ন ঘটায়। যখনই একটা বাক্সে শর্ট সার্কিট হয়, বাক্সের উপর নির্ভরশীল পরিবারগুলিকে মেরামত না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছাড়াই থাকতে হয়।

 

POST A COMMENT
Advertisement