রুটিরুজির টানেই বেরিয়েছিলেন রিকশা নিয়ে। অঝোরে বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টি থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছিলেন একটি বড় কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে। কিন্তু সেখানেই যেমন অপেক্ষা করছিল বিপদ! আর বাড়ি ফেরা হল না অলোক কয়ালের। ওই গাছের একটি বড় ডাল ভেঙে মৃত্যু হল তাঁর। শুক্রবার সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গল্ফগ্রিনে।
শুক্রবার সকাল থেকে বর্ষার বৃষ্টি নামে। সেই বৃষ্টির সময় গল্ফগ্রিনে রিকশা চালাচ্ছিলেন অলোক কয়াল। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে গল্ফগ্রিন সেন্ট্রাল পার্কের কাছে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছের নীচে রিকশায় বসেছিলেন। আচমকা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে গাছের একাংশ। গুরুতর জখম হন অলোক। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করা করে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে।
তবে শেষক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে,দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় রিকশা চালান অলোক কয়াল। আদতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্ তিনি। পুলিশের তরফে তাঁর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর দেওয়া হয়েছে। ৪২ বছরের অলোক ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার দিনভর আকাশ মোটের উপর মেঘলা থাকবে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। শনিবারও বাংলার প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে। রবিবারও কলকাতা-সহ বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া জেলার কিছু অংশে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
শনিবার ও রবিবার দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। সব জেলার বেশিরভাগ অংশেই বৃষ্টি হতে পারে। কয়েক জায়গায় রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে হাওয়া অফিস। বুধবার পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে।