Kolkata rooftop bars: পুজোয় কলকাতায় রুফটপ বার-পাবে Chill করা যাবে, তবে একাধিক শর্তও, জানা জরুরি

তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে কলকাতার রুফটপ ক্যাফে, লাউঞ্জ এবং পাবগুলি আবার খুলতে চলেছে। তবে এবার নতুন নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে সবকটি সংস্থাকেই। বুধবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, উৎসবের মরশুমে ব্যবসার কথা ভেবেই ফের খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে তিন মাসের মধ্যে সব অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।

Advertisement
পুজোয় কলকাতায় রুফটপ বার-পাবে Chill করা যাবে, তবে একাধিক শর্তও, জানা জরুরিমেছুয়া কাণ্ডের পর বড় সিদ্ধান্ত! কলকাতার ছাদের রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ মেয়রের
হাইলাইটস
  • তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে কলকাতার রুফটপ ক্যাফে, লাউঞ্জ এবং পাবগুলি আবার খুলতে চলেছে।
  • তবে এবার নতুন নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে সবকটি সংস্থাকেই।

তিন মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর অবশেষে কলকাতার রুফটপ ক্যাফে, লাউঞ্জ এবং পাবগুলি আবার খুলতে চলেছে। তবে এবার নতুন নিরাপত্তা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে সবকটি সংস্থাকেই। বুধবার কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, উৎসবের মরশুমে ব্যবসার কথা ভেবেই ফের খোলার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে তিন মাসের মধ্যে সব অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা কার্যকর করতে হবে।

কেন বন্ধ হয়েছিল ছাদের ক্যাফে?
চলতি বছরের মে মাসে মধ্য কলকাতার একটি রুফটপ হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপরই কলকাতা পুরসভা প্রায় ৮৩টি রেস্তোরাঁ, পাব ও লাউঞ্জে 'স্টপ-অপারেশন' নোটিশ জারি করে। যার বেশিরভাগই ছিল রুফটপে। নিরাপত্তার ঘাটতি থাকায় জরুরি ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেয় পুরসভা।

নতুন নিয়মে কী কী থাকছে?
নতুন স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (SOP) অনুযায়ী যেকোনও ছাদের অন্তত ৫০% অংশ পুরো ফাঁকা রাখতে হবে। রাস্তার মুখোমুখি ছাদ দখল করা যাবে না। যাতে ফায়ার ব্রিগেডের হাইড্রোলিক মই সহজে পৌঁছতে পারে। ৫০% ক্লিয়ারেন্স বাধ্যতামূলক। তবে নতুন করে রুফটপ পাব-ক্যাফে আর অনুমোদিত হবে না।

ছাদের কোনও অংশ বিক্রি বা ব্যক্তিগত দখলে দেওয়া যাবে না।  তা ওই বিল্ডিংয়ের সব বাসিন্দার সাধারণ অধিকারের আওতায় থাকবে। শপিং মল, স্কুল, হোটেল, কারখানা ও রেস্তোরাঁতেও বার্ষিক অগ্নি নিরাপত্তা নিরীক্ষা বাধ্যতামূলক।

উৎসবের মরশুমে শিথিলতা
পুরসভার কমিটির এক সদস্য জানান, সব নির্দেশিকা কয়েক দিনের মধ্যে কার্যকর করা সম্ভব নয়। কিন্তু পুজোর মরশুমে ব্যবসা দরকার। তাই তিন মাসের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে। এরপর কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হবে।

তদারকিতে কড়া নজর
নতুন নিয়ম তদারকির জন্য গঠিত কমিটিতে রয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী জাভেদ খান, আবাসন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা ও পুর কমিশনার ধবল জৈন।

অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ভারসাম্য
মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, 'অর্থনৈতিক দিকটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই মানুষের নিরাপত্তাও আমাদের কাছে সমান জরুরি। তাই নিয়ম ভেঙে আর ছাড় দেওয়া হবে না।'

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement