Kolkata rooftop bars: ভাবাচ্ছে গোয়া, কলকাতার রুফটপ বার-রেস্তোরাঁগুলির কী অবস্থা? পদক্ষেপের পথে পুরসভা

গোয়ার নাইটক্লাবে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর কলকাতা পুরসভা শহরের ছাদে চলা রেস্তোরাঁ, বার ও লাউঞ্জগুলিতে কঠোর নজরদারি শুরু করতে চলেছে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই কেএমসি বিশেষ অভিযান চালাবে, যেখানে অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

Advertisement
ভাবাচ্ছে গোয়া, কলকাতার রুফটপ বার-রেস্তোরাঁগুলির কী অবস্থা? পদক্ষেপের পথে পুরসভাকলকাতার রুপটপ রেস্তোরাঁ।-ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • গোয়ার নাইটক্লাবে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর কলকাতা পুরসভা শহরের ছাদে চলা রেস্তোরাঁ, বার ও লাউঞ্জগুলিতে কঠোর নজরদারি শুরু করতে চলেছে।
  • আজ, মঙ্গলবার থেকেই কেএমসি বিশেষ অভিযান চালাবে, যেখানে অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

গোয়ার নাইটক্লাবে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর কলকাতা পুরসভা শহরের ছাদে চলা রেস্তোরাঁ, বার ও লাউঞ্জগুলিতে কঠোর নজরদারি শুরু করতে চলেছে। আজ, মঙ্গলবার থেকেই কেএমসি বিশেষ অভিযান চালাবে, যেখানে অগ্নিনিরাপত্তা নিয়ম মেনে চলা হচ্ছে কিনা, সেটি খতিয়ে দেখা হবে।

গত এপ্রিল মাসে মেছুয়ায় একটি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের পর এই ধরনের ছাদ-সংলগ্ন প্রতিষ্ঠানগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে রাজ্য সরকারের জারি করা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুযায়ী তিন মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিলে, অগাস্টের শেষে সেগুলি পুনরায় চালু করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু গোয়ার সাম্প্রতিক দুর্ঘটনার পর এই নিয়মগুলি বাস্তবায়িত হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পুরসভার নিয়মে রয়েছে, কোনও ভবনের আশ্রয়স্থল বা সেই তলার জায়গায় ছাদের নির্মাণ করা যাবে না। ছাদের অন্তত ৫০ শতাংশ এলাকা সম্পূর্ণ খোলা রাখতে হবে। রাস্তার দিকের অংশে কোনও ব্যারিকেড বা কাঠামো তোলা যাবে না, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে ফায়ার ব্রিগেডের হাইড্রোলিক মই সহজে পৌঁছাতে পারে। মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন আমলা এবং পুলিশ কর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এই এসওপি তৈরি করেছে।

পুরসভার এক অফিসার জানান, এদিন থেকে তাঁরা ছাদে চলা বার, রেস্তোরাঁ ও লাউঞ্জগুলির উপর বিশেষ নজরদারি শুরু করবেন। পুরসভা ছাড়াও দমকল এবং কলকাতা পুলিশ এই দলে থাকবেন। কোথায় নিয়ম ভাঙা হয়েছে, সব বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা হবে। নিয়ম মেনে না চললে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা তদন্তের পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এপ্রিলের অগ্নিকাণ্ডের পরে পুলিশ যে ৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করেছিল, সেগুলির উপরই প্রথম ধাপের নজরদারি চলছে। যদিও কেএমসি দাবি করেছে, এর মধ্যে মাত্র ৩০টি প্রতিষ্ঠানই পুনরায় খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ বন্ড জমা দিয়েছে।
গত বছরের এপ্রিল মাসে মদন দত্ত লেনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ জন মারা যাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। এরপরই শহরের ছাদে চলা খাবারের দোকান ও লাউঞ্জগুলির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়। মে মাসে কেএমসি ৮৩টি প্রতিষ্ঠানকে ‘অপারেশন বন্ধ করুন’ নোটিস পাঠায়।

Advertisement

উৎসব মরসুমের আগেই সরকার অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু রাখার শর্তে নিরাপত্তার বিষয়টিকেও সমান গুরুত্ব দিয়ে পুনরায় খোলার পথ তৈরি করেছিল। কিন্তু গোয়ার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পুরসভা শহরের ছাদ-সংলগ্ন সব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে নতুন করে কঠোরভাবে পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

POST A COMMENT
Advertisement