সোনাগাছির SIR ক্যাম্পে মনোজ আগরওয়াল।-ফাইল ছবিরাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল যৌনকর্মীদের ভোটার অধিকার নিশ্চিত করতে স্পেশ্যাল ক্যাম্পে হাজির হয়েছেন। এশিয়ার বৃহত্তম যৌনপল্লি সোনাগাছিতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সিইও কার্যত কাজের তদারকি করেছেন।
যৌনকর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে তিনটি সংগঠন, সোসাইটি ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাকশন (SHDSA), ঊষা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড, এবং 'আমরা পদাতিক' রাজ্যের নির্বাচনী কর্মকর্তাকে চিঠি লিখেছিল। তাদের দাবি ছিল, যৌনকর্মীদের নথি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য কমিশন বিশেষ নজর দিক।
সিইও মনোজ আগরওয়াল আশ্বাস দিয়েছেন, 'কোনও ভয় নেই। যদি বাবা-মা না থাকেন, আমাদের স্পেশ্যাল পাওয়ার আছে, ওটা দিয়েই নাম তুলব। স্পেশ্যাল অবজার্ভারের পাঁচজন আগামিকাল আসবেন। শুধু যৌনকর্মী নয়, অনাথ আশ্রমেও স্পেশ্যাল ক্যাম্প হবে। ১১ তারিখের মধ্যে ফর্ম তুলে নেব। ১৬ তারিখে খসড়া প্রকাশ হবে।'
এই বিশেষ ক্যাম্পের মাধ্যমে যৌনকর্মীরা তাদের এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করে জমা দিতে পারবে এবং যে কোনো নথি সংক্রান্ত সমস্যা সরাসরি সমাধান হবে।
সংগঠনগুলির তিনটি প্রস্তাব ছিল
১. যৌনকর্মীদের ভোটার স্বীকৃতির জন্য কিছু বিকল্প নথি বা পরিচয়পত্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণযোগ্য ঘোষণা করা।
২. সোনাগাছিতে বিশেষ ক্যাম্পের আয়োজন করে ভোটার তালিকা সংশোধন ও ফর্ম পূরণ প্রক্রিয়া সহজ করা।
৩. যৌনকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিদ্যমান ভোটার কার্ড কোনও পরিস্থিতিতেই বাতিল না হওয়ার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া।
সিইও দফতর এবার কার্যত নড়েচড়ে বসেছে। বিশেষ ক্যাম্পে ইআরও বসে যাচাই করবেন, কাদের কী সমস্যা রয়েছে। সমস্ত সমস্যা সমাধান করে কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে নিশ্চিত করা হবে, যেন সবাই ভোটার কার্ড পেতে পারেন।
সংগঠনগুলোর উদ্বেগ, নতুন নিয়মের কারণে বহু যৌনকর্মী তাঁদের ভোটার পরিচয় হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন। ২০০৭ সালে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে দেওয়া ভোটার কার্ড তাদের পরিচয় ও সম্মানের প্রতীক। এবার সেই স্বীকৃতি হারানোর ভয় তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে যাদের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানের জন্মনিবন্ধন নেই।