আরজি কর কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে পড়েছে টালা থানার ভূমিকা। সেই থানার ওসিকে কলকাতার একাধিক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ উঠল। লালবাজারের পক্ষ থেকে অভিযোগ, টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল বুকে ব্যথা নিয়ে একাধিক হাসপাতালে ঘুরেছেন তবে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার অভিজিৎ মণ্ডল পুলিশ স্টেশনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তাঁর বুকে ব্যথা ওঠে, রক্তচাপ বেড়ে যায়। থানায় থাকা পুলিশকর্মীরা ওসি-কে হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য নিয়ে যান। তবে সূত্রের দাবি, বেসরকারি হাসপাতাল জানিয়ে দেয়, তাঁকে ভর্তির প্রয়োজন নেই। এরপর পরিবারের তরফে পুলিশ অফিসারকে আলিপুরে অবস্থিত একটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, সেখানেও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ভর্তি করানোর প্রয়োজন নেই।
যদিও পুলিশের দাবি, অভিজিৎ মণ্ডলের ১৮০/১৩০ রক্তচাপ ছিল। তিনি একাধিকবার অজ্ঞানও হয়ে যান। বুকে ব্যথা ছিল তাঁর। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলে দেয় ভর্তির প্রয়োজন নেই। এরপর খবর পেয়ে স্থানীয় থানার পুলিশ আধিকারিক অভিজিৎ মণ্ডলকে সাহায্য করতে হাসপাতালে যান। অভিযোগ, তখন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইন্ডিয়া টু-ডে কে জানায়, এমার্জেন্সিতে অভিজিৎ মণ্ডলকে দেখানো হয়। নিউরোলজি ডাক্তাররা তাঁকে দেখেন। ইসিজি, ইকো এবং অন্য পরীক্ষাও করা হয়। তবে উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যায়নি। তাই ভর্তি করা হয়নি।
এরপর আলিপুরের আর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় টালা থানার ওসি-কে। সেখানে জানানো হয় আইসিইউ-তে ভর্তি করানো হবে অভিজিৎ মণ্ডলকে। তবে কোনও এক অজানা কারণে ভর্তি করানো হয়নি। আর একটি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া স্থির হয়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে জানানো হয়, প্রয়োজন নেই। অবশেষে টালা থানার ওসিকে গড়িয়াহাটের একটি ছোটো নার্সিংহোমে ভর্তি কররানো হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর।
এই বিষয়ে আইপিএস মিরাজ খালিদ জানান, দুর্ভাগ্যবশত টালা থানার ওসিকে একাধিক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হলেও তাঁকে ভর্তি করানো হয়নি। তবে পরে একটি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।