বড়দিন ঘিরে সেজে উঠেছে পার্কস্ট্রিটপ্রতি বছরের মতোই কলকাতার পার্ক স্ট্রিট এবং তার সংলগ্ন এলাকার বর্ষবরণের উৎসবকে কেন্দ্র করে শহরে ব্যাপক ভিড় জমে। এই বিশেষ দিনে, নিরাপত্তা এবং যান চলাচল নিশ্চিত করতে কলকাতা পুলিশ বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশেষত, ভিড়ের চাপ মোকাবিলা এবং রাস্তার পরিস্থিতি সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য লালবাজার কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের রাতের জন্য শহরের নানা রাস্তা এবং পার্কিং সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
যান চলাচল সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ ডিসেম্বর রাত ৩টা পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিটের পশ্চিম থেকে পূর্বে একমুখী (ওয়ান ওয়েকে) গাড়ি চলাচল করবে। তেমনি, জওহরলাল নেহরু রোড এবং এজেসি বোস রোডের মাঝামাঝি এলাকায়ও পূর্ব থেকে পশ্চিমে একমুখী গাড়ি চলবে, এবং শেক্সপিয়র সরণি ধরে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
এছাড়াও, পুলিশ জানিয়েছে যে এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু রাস্তা একমুখী (ওয়ান ওয়েয়) করে দেওয়া হবে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
হো চি মিন সরণি (পশ্চিম থেকে পূর্ব)
মিডলটন স্ট্রিট (ক্যামাক স্ট্রিট এবং জওহরলাল নেহরু রোডের মাঝের অংশে পূর্ব থেকে পশ্চিম)
লিটল রাসেল স্ট্রিট (দক্ষিণ থেকে উত্তর)
ক্যামাক স্ট্রিট (উত্তর থেকে দক্ষিণ, পার্ক স্ট্রিট এবং এজেসি বোস রোডের মাঝে)
এছাড়াও, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ক্রসিং থেকে পার্ক স্ট্রিটের দিকে কোনও গাড়ি যেতে পারবে না, এবং রাসেল স্ট্রিটে উঠতে হলে ডান দিকে মোড় নেওয়া যাবে না।
পার্কিং নিষেধাজ্ঞা
যান চলাচল মসৃণ রাখতে এবং ট্রাফিক congested না হওয়ার জন্য পুলিশ বেশ কিছু এলাকা যেখানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ, তার তালিকা দিয়েছে।
এইসব এলাকায় গাড়ি পার্ক করা যাবে না:
পার্ক স্ট্রিট
ক্যামাক স্ট্রিট
মিডলটন স্ট্রিট
ফ্রি স্কুল স্ট্রিট
লিটল রাসেল স্ট্রিট
কিড স্ট্রিট
রাসেল স্ট্রিট (প্রয়োজনমতো)
রয়েড স্ট্রিট
রফি আহমেদ কিদওয়াই রোড
উড স্ট্রিট
এইসব এলাকায় কোনো গাড়ি পার্ক করলে তা জরিমানা বা অন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
শুধু যান চলাচলই নয়, বর্ষবরণের উৎসবে নিরাপত্তার বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অতিরিক্ত প্রায় ৪ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, বিশেষত পার্ক স্ট্রিট এবং তার আশপাশে। মাইক্রোফোনের মাধ্যমে পাবলিক অডিও ব্যবস্থা, সিসিটিভি ক্যামেরা, ড্রোন নজরদারি—সবকিছু মিলিয়ে শহরের নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হবে। পুলিশ জানাচ্ছে, এই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে তারা সারা রাত সর্তক থাকবে, যেন কোনও অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়।