দক্ষিণ কলকাতার কড়েয়া থানা এলাকায় গনপিটুনিতে মৃত্যু হল এক যুবকের। মোবাইল চুরির সন্দেহে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। যার জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত যুবকের নাম মহম্মদ সিকন্দর। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে কড়েয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কড়েয়ার কুস্তিয়া রোড এলাকার বাসিন্দা রকি নামে এক যুবকের মোবাইল ফোন কিছুদিন আগে চুরি যায়। সেই ঘটনার পর থেকেই সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছিল এলাকার আরেক যুবক সিকন্দর আলমকে। বেশ কিছুদিন এলাকায় অনুপস্থিত ছিলেন সিকন্দর। বুধবার রাতে যখন তিনি এলাকায় ফিরে আসেন, তখনই ঘটনার সূত্রপাত।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মোবাইল চুরির প্রসঙ্গে রকি ও সিকন্দরের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তারপরই রকি ও তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সিকন্দরকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় সিকন্দরকে প্রথমে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ফের তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে, যেখানে শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।
সিকন্দরের স্ত্রী বৃহস্পতিবার কড়েয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত তদন্ত শুরু করে। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রকি-সহ মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এই গণপিটুনির ঘটনায় ফের একবার প্রশ্ন উঠেছে শহরের আইনশৃঙ্খলা ও প্রবণতা নিয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজনে আরও গ্রেফতার হতে পারে। নিহত সিকন্দরের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।