Kumortuli Case: পিসি শাশুড়িকে টুকরো করেছে? মা-মেয়ের দাবি শুনুন

কুকুর নয়। পিসি শাশুড়িরই দেহ ছিল ব্যাগে! কুমোরটুলি কাণ্ডে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল বয়ান। সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত ফাল্গুনী ও আরতি ঘোষ জানিয়েছে, ট্রলিতে যাঁর দেহ, তার নাম সুমিতা ঘোষ। সম্পর্কে পিসিশাশুড়ি। 

Advertisement
কুমোরটুলি কেস: পিসি শাশুড়িকে টুকরো করেছে? মা-মেয়ের দাবি শুনুনকুমোরটুলি কাণ্ডে বড় তথ্য সামনে এল।

Kumortuli Body Case: কুকুর নয়। পিসি শাশুড়িরই দেহ ছিল ব্যাগে! কুমোরটুলি কাণ্ডে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বদলে গেল বয়ান। সূত্রের খবর, জেরায় ধৃত ফাল্গুনী ও আরতি ঘোষ জানিয়েছে, ট্রলিতে যাঁর দেহ, তার নাম সুমিতা ঘোষ। সম্পর্কে পিসিশাশুড়ি। 

আরও জানা গিয়েছে, ফাল্গুনী ও আরতি দু'জনেই মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা। দুই মহিলা প্রথমে প্রিন্সেপ ঘাট(Princep Ghat) যান, তারপর ট্যাক্সি নিয়ে কুমোরটুলি(Kumortuli) ঘাটে পৌঁছায়।

আরও পড়ুন: Kumortuli Case: কুকুর, পিসি শাশুড়ি নাকি ননদ? ব্যাগভর্তি টুকরো দেহ কার? পান চিবিয়ে যা বলল ধৃত মহিলা

কীভাবে ও কেন খুন?(Kolkata Crime News)
মধ্যমগ্রামের স্থানীয়দের দাবি, ভাড়া নিয়ে থাকতেন ফাল্গুনী ও আরতি। তাঁদের সঙ্গে থাকতেন পিসি শাশুড়ি সুমিতা। প্রতিবেশীদের কথায়, প্রায়শই পিসি শাশুড়ির সঙ্গে ফাল্গুনী ও আরতির বচসা লেগেই থাকত। ঘটনার আগের দিনগুলিতেও বচসা চরমে ওঠে বলে দাবি করেন তাঁরা। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, তাঁদের ভাড়া থেকে উঠিয়ে দেওয়ার জন্যও বাড়িওলার কাছে আর্জি করেছিলেন তাঁরা।

সূত্রের খবর, জেরায় মহিলারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে পিসিশাশুড়ির সঙ্গে মা-মেয়ের বচসা চরমে ওঠে। সেই সময়ই সম্ভবত মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল সাতটায় মাস্ক পরে ট্রলি ব্যাগ নিয়ে কুমোরটুলি ঘাটে হাজির হয় তারা। ব্যাগটি এত ভারী ছিল যে দু'জনে মিলে সেটি টানতে হিমশিম খাচ্ছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা বিষয়টি নজরে রাখেন। ব্যাগের ভিতরে কী আছে জানতে চাইলে প্রথমে জানানো হয়, সেটি কুকুরের দেহ।

কিছুক্ষণ পরই মা-মেয়ে গঙ্গায় কিছু ফেলতে গেলে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। ব্যাগ খুলতেই দেখা যায়, কাপড়ে মোড়া পচাগলা দেহ। পুলিশ এসে দু'জনকে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতদের বয়ান বারবার বদলাতে দেখা যায়। কখনও বলেন কুকুরের দেহ, কখনও পিসিশাশুড়ির দেহ, কখনও আবার ননদের। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। প্রিজন ভ্যানে তোলার সময় স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান।

ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। দু'জনের কাছ থেকে শিয়ালদা-হাসনাবাদ লাইনের কাজিপাড়ার ট্রেনের টিকিটও উদ্ধার হয়েছে।

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement