সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৮ বছর বয়স। এবার লোকসভা ভোটে উত্তর কলকাতায় প্রার্থী করা হোক শশী পাঁজাকে। শনিবার এহেন দাবি করলেন কুণাল ঘোষ, যিনি গতকালই (শুক্রবার) তৃণমূলের মুখপত্র এবং রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।
উত্তর কলকাতার সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত আক্রমণ করে চলেছেন কুণাল ঘোষ। শুক্রবার তিনি সুদীপের সঙ্গে সন্দেশখালির নেতা শাহজাহানের তুলনা টানা, এমনকি রোজভ্যালির সঙ্গে তাঁর যোগের অভিযোগ করেছিলেন। কুণাল দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধরে রোজভ্যালিকাণ্ড থেকে সুদীপ মুক্তি পেয়েছেন। এ দিনও তাঁর কটাক্ষ,'সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে, সুদীপদা মোদীর কাছে গিয়েছেন।'
উত্তর কলকাতার প্রার্থী হওয়ার বাসনা থেকেই কি কুণালের সুদীপ-বিরোধিতা? ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন। এ দিন কুণাল দাবি করেন, উত্তর কলকাতায় দলের তরফে মহিলা কাউকে প্রার্থী করা হোক। তিনি বলেন,'আগে এটা ছিল উত্তর-পূর্ব কলকাতা। উত্তর কলকাতার ইতিহাস দেখলে বোঝা যাবে, কোনও মহিলা এখানে সাংসদ হননি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৭৮ বছর বয়স। গ্রেফতারের আগে কালো চুল। পরে সাদা চুল। দক্ষিণ কলকাতা মহিলা সাংসদ পেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন সাংসদ মালা রায়। উত্তর কলকাতায় মহিলা প্রার্থী দে্ওয়া হোক।'
শশীই কেন, সুদীপ-জায়া নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়ও তো প্রার্থী হতে পারেন? কুণালের মন্তব্য,'নয়নাদি বিউটিপার্লার সামলে সময় দিতে পারলে প্রার্থী হবেন।'
উত্তর কলকাতায় শশী পাঁজার নাম ভাসিয়ে দিয়েছেন কুণাল। তাঁর কথায়,'শশী পাঁজার মতো যোগ্য প্রার্থী করা হোক। উত্তর কলকাতা কেন মহিলা প্রার্থী পাবে না? এটা কর্মী হিসেবে আমি বলতেই পারি। শশী পাঁজা দক্ষ মন্ত্রী ও প্রাক্তন সাংসদ অজিত পাঁজার পুত্রবধূ। অজিত পাঁজাকে নিয়ে ওই এলাকায় আবেগ আছে।'
সুদীপ প্রার্থী হলেও দলের সিদ্ধান্তে আপত্তি করবেন না বলে জানিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন,'রাতে হোয়াটসঅ্যাপে নেতানেত্রীদের মেসেজ করেন। আবার একবার প্রার্থী হলে হবেন, তখন তাঁর হয়ে খাটব আমরা। কারণ আমরা তো কর্মী। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল যদি বলে সুদীপের হয়ে প্রচার করো, আমি করব। এটা একটা পরিবার। ক্ষোভ থাকতে পারে। দিনশেষে একটাই দল। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই আমরা মানব।'