অভয়ার বাবার বিরুদ্ধে ১৫ নম্বর ব্যাংকশাল কোর্টে মানহানির মামলা করেছিলেন কুনাল ঘোষ। সেখানেই বৃহস্পতিবার মামলার শেষে কুনাল ঘোষ বলেছেন, 'যে অভিযোগ করেছিলেন তা আদালতে বলতেই পারল না নির্যাতিতার বাবার আইনজীবী। উল্টে তিনি নিজে কি বলেছেন, সেই ভিডিও চাইলেন আদালতের কাছে। কুণালের দাবি, আদালতের নোটিশ পেতেই, রণে ভঙ্গ। প্রমাণ চাইতে দৌড় শেষ। টাইম কিল করার রন কৌশল নিয়েছেন এবার। পরবর্তী শুনানের দিন ১৯ শে নভেম্বর।'
কুণালের দাবি, আরজি করের নির্যাতিতার বাবার পক্ষে হাজির আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাঙ্কশাল আদালতের ১৫ নম্বর বিচারকের এজলাসে বিচার বিভাগের বিচারক্রমে ফের দেখা গেছে, ঠিক কী মন্তব্য করেছিলেন অভয়ার বাবা, তা জানতে পেনড্রাইভ দাবি করেন তাঁদের পক্ষে থাকা আইনজীবী।
কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, এভাবে সময় নষ্ট করা হচ্ছে এবং এটি হলো ‘রণে ভঙ্গ’, অর্থাৎ কৌশলে পিছিয়ে পড়ে ঘটনা অন্যভাবে ঘোরানোর চেষ্টা। কুণাল বলেন, 'অভিযোগের সমর্থনে প্রমাণ দেওয়ার বদলে পিছিয়ে গেলেন। আদালতে এসে আইনজীবীকে বলতে হচ্ছে একটু পেনড্রাইভটা দেবেন'। কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী ইতিমধ্যেই পিটিশনে সমস্ত বিষয়ের বিবরণ রেখেছেন বলেও জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে ওই তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণের পরে খুন হন। তদন্তে প্রথমে সঞ্জয় রায় নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে। কলকাতা পুলিশ ও পরবর্তীতে হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তভার আসে সিবিআইয়ের হাতে। শিয়ালদা আদালত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে।