লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় খবর। এবার থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেতে মানতেই হবে এক শর্ত। তবেই টাকা পাবেন মহিলারা। খোদ রাজ্য সরকারের তরফে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ৩১ মার্চ লক্ষ্মীর ভান্ডার পরিষেবার জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর।
সেই বিজ্ঞপ্তির একটা জায়গায় লেখা রয়েছে, যে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার কার্ডের লিঙ্ক করা থাকবে, সেই সব অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের জন্য বরাদ্দ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে যাঁদের অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার লিঙ্ক নেই তাঁদের টাকা দেওয়া হবে কি না তা স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সময় যে প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়ার জন্য সবথেকে বেশি আবেদন জমা পড়ে, তার মধ্যে অন্যতম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। তবে এর আগে নিয়ম ছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতে হলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। তবে এই নিয়ম পরিবর্তন হওয়ায় অনেকে খুশি।
আরও পড়ুন : 'হকের ডিএ ছিনিয়ে নেব', ট্রেনে শ্লোগান দিতে দিতে দিল্লি রওনা আন্দোলনকারীদের
কারণ, দুয়ারে সরকার শুরু হতেই রাজ্য সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না থাকলেও মিলবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। দুয়ারে সরকারের প্রথম দিনই স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, বিধবা ভাতা, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫.৫ লাখ আবেদনপত্র জমা পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়।
প্রসঙ্গত, এবারে দুয়ারে সরকার শিবিরে মোট ৩৩ টি প্রকল্প রাখা হয়েছে। তার মধ্যেই এখনও পর্যন্ত ছয়টি প্রকল্পে সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার এখনও পর্যন্ত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৭৮ টি আবেদন জমা পড়েছে। স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে ১ লক্ষ ৮১ হাজার ২৩১ টি আবেদন এখনও পর্যন্ত জমা পড়েছে।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, একজন মহিলা যিনি এই রাজ্যের বাসিন্দা, বয়স ২৫ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং সরকারি কর্মচারি নন, তিনি এই প্রকল্পের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য যোগ্য। তাই socialsecurity.wb.gov.in-এ গিয়ে আবেদনের স্থিতি দেখার পাশাপাশি দুয়ারে সরকার' (Duare Sarkar) ক্যাম্পে গিয়েও এ বিষয়ে তথ্য পেতে পারেন। রাজ্যজুড়ে ২ হাজারেরও বেশি দুয়ারে সরকার ক্যাম্প রয়েছে যার মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আবেদন জমা দেওয়া যেতে পারে অথবা এ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যাবে।