৭৭ বছর বয়সে এসে জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন লক্ষ্মণ শেঠ। মানসী দে-র সঙ্গে বিয়ে আগেই সেরেছিলেন বর্তমান কংগ্রেস তথা প্রাক্তন সিপিআইএম-এর এই নেতা। এবার সারলেন রিসেপশন। ইকো পার্কের এক অনুষ্ঠান বাড়িতে হয় এই রিসেপসন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী-সহ একাধিক নেতা-নেত্রী।
লক্ষ্মণ শেঠের দ্বিতীয়বার বিয়ের পর একাধিক বিতর্ক তৈরি হয়। যা নিয়ে কলকাতা প্রেস ক্লাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, তমালিকা পণ্ডা শেঠের মতো একই পথে চলবেন মানসী। তমালিকার সঙ্গে লক্ষ্মণের পরিচয় বাম রাজনীতি করার সময় থেকে। ১৯৭৯ সালে হয় বিয়ে। হলদিয়া পৌরসভার চেয়ারপার্সন হওয়ার পাশাপাশি তমালিকা ছিলেন মহিষাদল বিধানসভার বিধায়কও।
জানা যায়, লক্ষ্মণের দ্বিতীয় স্ত্রী মানসী দে কলকাতার একটি নামী হোটেলে উচ্চপদে কর্মরত। কলকাতার এক পরিচিতের মাধ্যমেই মানসীর সঙ্গে আলাপ হয় লক্ষণের৷ এরপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত৷ চলতি বছরই আইনি ভাবে চার হাত এক হয় লক্ষণ-মানসীর৷ একটি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে মালাবদলও করেন দু জন৷ প্রথমে বিয়ের কথা স্বীকার করলেও নতুন স্ত্রীর পরিচয় গোপন রেখেছিলেন লক্ষণ শেঠ৷
প্রসঙ্গত, বাম আমলে তিনবার সাংসদ হয়েছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। কিন্তু ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন তৎকালীন দাপুটে এই সিপিআইএম নেতা। রাজ্যে পালাবদলের পর ২০১৪ সালে লক্ষ্মণকে বহিষ্কার করে সিপিএম। এরপর নিজের একটি দল গঠন করেন তিনি। যদিও পরে নিজের তৈরি দল ছেড়েই বিজেপিতে যোগ দেন লক্ষ্মণ শেঠ। ২০১৮ সালে বিজেপিও তাঁকে বহিষ্কার করে। এরপর ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন।