রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকতে শুরু করল মহিলাদের অ্য়াকাউন্টে। রাজ্য সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত হারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন মহিলারা। তবে গতকাল সোমবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় টাকা ঢোকেনি। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে সেই টাকা ঢুকতে শুরু করেছে অ্যাকাউন্টে।
নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সকাল থেকেই অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ২ কোটি ১৬ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের বর্ধিত অর্থ পাঠানো হতে পারে। যদি সেই টাকা মঙ্গলবার না ঢোকে তবে তা আগামী এক দুদিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে।
রাজ্য সরকার সূত্রে খবর, এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকার জন্য শুধু মাত্র এপ্রিল মাসেই রাজ্য সরকারের খরচ হবে প্রায় ২,২৩০ কোটি টাকা। যদিও মার্চ ওই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের খরচের পরিমাণ ছিল প্রায় ১,১৮০ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই প্রকল্পের জন্য এপ্রিলে অনেক বেশি টাকা খরচ হচ্ছে রাজ্য সরকারের।
রাজ্য সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ১ এপ্রিল বর্ধিত হারে টাকা পাবেন রাজ্যের মহিলারা। যাঁরা এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে মাসে ৫০০ টাকা পান, তাঁদের মিলবে হাজার টাকা ও যাঁরা পান হাজার টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে ১২০০ টাকা। ১ এপ্রিল থেকেই সেই টাকা মহিলাদের অ্যাকাউন্টে আসার কথা ছিল।
২০২৪-২৫ বর্ষের বাজেট পেশ করার সময়ই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য । এতদিন অবধি এই প্রকল্পে সাধারণ শ্রেণির মহিলারা মাসিক ৫০০ টাকা এবং তপশিলি জাতি এবং উপজাতি শ্রেণির মহিলারা ১০০০ টাকা করে পেতেন। তবে এবারের বাজেটে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই টাকা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। মার্চ মাসের শুরুতেই এই নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে রাজ্য সরকার।
এপ্রিল মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের এই টাকা উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। ভাতা বৃদ্ধির ফলে এবার সাধারণ শ্রেণির মহিলারা ৫০০ টাকার বদলে প্রত্যেক মাসে ১০০০ টাকা করে পাবেন। একইরকমভাবে তপশিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলাদের ভাতার অঙ্কও বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার। ১০০০ টাকার পরিবর্তে এবার মাসিক ১২০০ টাকা করে পাবেন তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একাধিক সভা থেকে এই ঘোষণা করেন।