scorecardresearch
 

বিদ্রোহের জের! উপনির্বাচনের প্রচারে বাদ লকেট, কী বললেন BJP MP?

আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কারা ভোটের প্রচার করবেন, ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement
লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেট চট্টোপাধ্যায়।
হাইলাইটস
  • উপনির্বাচনে প্রচারক তালিকা থেকে বাদ লকেট।
  • রাজ্য বিজেপিতে সরব হওয়ার জের?
  • গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে না দল, প্রতিক্রিয়া লকেটের।

দলের বৈঠকে ভোট-বিপর্যয়ে আত্মবিশ্লেষণ চেয়ে সরব হয়েছিলেন লকেট চট্টোপাাধ্যায়। সেই 'বিদ্রোহে'র জেরে কি হুগলির সাংসদকে উপনির্বাচনের প্রচার থেকে বাদ দেওয়া হল? উপনির্বাচনে বিজেপির ৪০ জনের প্রচারক তালিকায় ভিন রাজ্যের নেতা-সাংসদরাও রয়েছেন। তবে বাদ পড়েছেন এ রাজ্যের লকেট চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং শমীক ভট্টাচার্য। লকেটের প্রতিক্রিয়া,প্রচারের ইচ্ছা ছিল। তবে দল তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেনি।                

আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। কারা ভোটের প্রচার করবেন, ৪০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। ওই তালিকায় সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষদের সঙ্গে জ্বলজ্বল করছেন গিরিরাজ সিং, স্মৃতি ইরানি, নিত্যানন্দ রাই, বিপ্লব দেব, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, মনোজ তিওয়ারি, রবি কিসানের মতো ভিন রাজ্যের নেতারাও। অথচ বাদ পড়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, শমীক ভট্টাচার্য, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সায়ন্তন বসু। প্রথম দু'জন লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদ তথা রাজ্যের মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভানেত্রী। আর শমীক, রাজু এবং সায়ন্তন বিজেপির আদি নেতা।         
 

উপনির্বাচনে বিজেপির প্রচারকদের তালিকা।
উপনির্বাচনে বিজেপির প্রচারকদের তালিকা।

তবে জল্পনা কেন্দ্রবিন্দু লকেট চট্টোপাধ্যায়। মহিলা মোর্চার সভানেত্রী হিসেবে দারুণ কাজ করেছেন। ২০১৯ সালে লড়াই করে হুগলির মতো আসন ছিনিয়ে এনেছেন। তবে ইদানীং রাজ্য বিজেপির সঙ্গে লকেটের সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে বলে খবর। 

অতিসম্প্রতি দলের সাংগঠনিক বৈঠকে হারের পর্যালোচনা নিয়ে মুখে খুলেছিলেন লকেট। তিনি বলেছিলেন, 'কাজের লোক নয় কাছের লোকদের জায়গা দেওয়া হয়েছে কমিটিতে।' সেনিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান,'দলের ভিতরের আলোচনা বাইরে বলব না। উনি যা বলেছেন সব নথিবদ্ধ হয়েছে।' লকেটকে পাল্টা দিয়েছিলেন দিলীপ। তিনি বলেছিলেন,'যাঁরা ময়দানে ছিলেন না তাঁরা কীভাবে আত্মসমালোচনা করবেন?' লকেটের পাল্টা, 'কোথায় কোন দায়িত্বে ছিলাম উনি জানেন।' আসলে লকেটকে উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটের প্রচারে কাজে লাগিয়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে দিল্লিতে বিজেপির সাংবাদিক বৈঠকেও তিনিই বক্তব্য রেখেছিলেন। বাদ পড়ার পর লকেটও তাই বলছেন,'কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যোগ্য মনে করেছিলেন। আমাকে রাজ্য নেতৃত্ব হয়তো গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না। ইচ্ছে ছিল প্রচারের। তবে দল নাই চাইলে করব না।' 

Advertisement

শুধু রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হওয়া নয় দলের বিদ্রোহী শিবিরের নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে লকেটের। রীতেশ তিওয়ারি, শান্তনু ঠাকুর ও জয়প্রকাশ মজুমদারের (অধুনা তৃণমূল) সঙ্গে বৈঠকও করেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিদ্রোহের দামই দিতে হল লকেটকে। তাঁর আচরণ ভালভাবে নিচ্ছেন না রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতারা। 

আরও পড়ুন- 'কোর্টই এর আগে বারবার বলেছে CBI তোতাপাখি,' কটাক্ষ ফিরহাদের

 

Advertisement