২৪ তারিখ বিগ্রেড ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ পরিদর্শন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজনে অবশ্য বিজেপি নেই। কয়েকটি হিন্দু সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর আজকের বিগ্রেডে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বিগ্রেডে প্রস্তুতি পরিদর্শনের পর শুভেন্দু বলেন, 'আমরা জানি এই অনুষ্ঠানের রাজ্য সরকারের থেকে এক লিটার জলও পাব না। সব সনাতনী সংগঠন একসঙ্গে মিলে এই আয়োজন করছে। এটা যেহেতু কোনও রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। তাই কোনও বিধায়ক, জনপ্রতিনিধি গীতাপাঠের মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন না। আমরা কোনও নেতা মঞ্চে থাকবে না। শুভেন্দু, সুকান্তরা মঞ্চে থাকবে না। নীচে থাকব। ভলান্টিয়ারের কাজ করব। গীতা যখন পাঠ হবে, হিন্দু হিসেবে অংশগ্রহণ করব।'
ব্রিগেডে লক্ষ কন্ঠে গীতাপাঠের আয়োজকরা হল অখিল ভারতীয় সংসকৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম। এই গীতাপাঠে অংশ নেবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার সাধুসন্ত। এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন মঠ ও মিশনের আশ্রমিক থেকে স্কুল পড়ুয়ারা। লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে উপস্থিত থাকার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তবে, অন্য কর্মসূচি থাকায় তিনি আসতে পারছেন না।
২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ অনুষ্ঠানে মোট ২০টি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লকে ৫ হাজার জন করে বসানো হবে। মূল মঞ্চ হবে ৩টে। একটি মঞ্চে থাকবেন দ্বারকার শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দ সরস্বতী। ইতিমধ্যেই তিনি কলকাতায় এসে গিয়েছেন। আরেকটি মঞ্চে থাকবেন গীতা পাঠ করানোর দায়িত্বে থাকা সাধুসন্তরা।
২৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় এই অনুষ্ঠান শুরু হবে ২০ হাজার ৮টি শঙ্খধ্বনিতে। এরপর সমবেত কণ্ঠে কাজি নজরুল ইসলামের লেখা 'হে পার্থসারথি, বাজাও বাজাও পঞ্চ জন্য শঙ্খ' গানটি গাওয়া হবে। গীতার ৫টি অধ্যায়কে বেছে নেওয়া হয়েছে পাঠের জন্য। এছাড়াও প্রায় দেড় হাজার সাধুসন্ত ওইদিন ব্রিগেড ময়দানে শান্তিস্তোত্র পাঠ করবেন বলে আয়োজনকদের সূত্রে জানা গিয়েছে।