মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। তবে পরীক্ষার ফলাফলে অনেক পড়ুয়া সন্তুষ্ট হন না। সেজন্য রিভিউ ও স্ক্রুটিনি করেন। তা কীভাবে করা যাবে জানাল মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। এই নিয়ে প্রতিটি স্কুলকে নির্দেশও দিয়েছে পর্ষদ। ছাত্র-ছাত্রীরা কীভাবে স্ক্রুটিনি ও রিভিউ করবে তা নিয়ে বিশেষ নিয়মাবলী মানতে হবে সংশ্লিষ্ট স্কুলগুলোকে।
মাধ্যমিক মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে, www.wbbsedata.com ওয়েবসাইটে স্ক্রুটিনি ও রিভিউ সংক্রান্ত সব তথ্য রয়েছে। সেখানে ইনস্ট্রাকশন ট্যাব রয়েছে। সেখানে ক্লিক করলেই নিয়ম জানা যাবে। পর্ষদ আরও জানিয়েছে, যারা পাশ করেছে তারা স্ক্রুটিনি করতে পারবে। একজন ছাত্রী বা ছাত্রীকে এক একটি বিষয়ে (যেমন, বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ইত্যাদি) স্ক্রুটিনির জন্য দিতে হবে ৮০ টাকা। ফেল করা প্রার্থীরা রিভিউ করতে পারবে। বিষয় প্রতি তাদের দিতে হবে ১০০ টাকা।
নির্দেশাবলীর মধ্যে আরও বলা আছে, স্ক্রুটিনি-রিভিউর জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে সাদা পাতায় লিখে আবেদন করতে হবে। সেখানে ফি দিতে হবে। সঙ্গে মার্কশিটও দিতে হবে। বোর্ড ম্যানুয়ালি কোনও দরখাস্ত নেবে না। অনলাইনে দরখাস্ত নেওয়ার কোনও ব্যবস্থা নেই। কেবল মাত্র স্কুলই অনলাইনে আবেদন করতে পারবে। স্কুলের কোনও ছাত্র বা ছাত্রী এককভাবে আবেদন করতে পারবে না।
১৮ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত এই স্ক্রুটিনি-রিভিউ করার জন্য আবেদন করতে পারবে। তারপর আর কোনও আবেদন গ্রহণ করা হবে।
চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ১২ ফেব্রুয়ারি। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে ৯,২৩,০১৩ জন। এদের মধ্যে ছাত্র পরীক্ষার্থীর সংখ্যা- ৪,০৫,৯৯৪। ছাত্রী পরীক্ষার্থীদের সংখ্যা- ৫,১৭০,১৯ জন। পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা- ২৬৭৫টি। চলতি বছর মোট ৭৬৫২৫২ পরীক্ষর্থী পাশ করেছে মাধ্যমিকে। এবার অকৃতকার্য হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭১৩ জন। এবার অসফল হওয়ার হার প্রায় ১৪ শতাংশ। চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল হয়েছে ৪৮ জনের। এ বছরের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৮০ দিনের মাথায় ফলপ্রকাশ করছে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ।
মাধ্যমিকের প্রথম দশে রয়েছেন ৫৭ জন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৮ জন, দক্ষিণ দিনাজপুরের ৭ জন, পূর্ব বর্ধমানের ৭ জন, পূর্ব মেদিনীপুরের ৭ জন, বাঁকুড়ার ৪ জন, বীরভূমের ৩ জন, উত্তর ২৪ পরগনার ২ জন, হাওড়ার ১ জন, মালদহের ৪ জন, পশ্চিম মেদিনীপুরের ৪ জন, কোচবিহারের ২ জন, হুগলি থেকে ২ জন, নদিয়ার ২ জন, হাওড়ার ১ জন, ঝাড়গ্রামের ১ জন, কলকাতার ১ জন, পুরুলিয়ার ১ জন, উত্তর দিনাজপুরের ১ জন।