Mahua Moitra: লোকসভা ভোটের আগে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের সংগঠনে বড় দায়িত্বে মহুয়া

লোকসভা ভোটের আগে সোমবার জেলায় জেলায় সাংগঠনিক রদবদল করেছে রাজ্যের শাসক দল। সেই তালিকায় কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী হিসেবে রয়েছে মহুয়া মৈত্রের নাম।

Advertisement
লোকসভা ভোটের আগে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের সংগঠনে বড় দায়িত্বে মহুয়াMahua Moitra / মহুয়া মৈত্র
হাইলাইটস
  • ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি।
  • শীতকালীন অধিবেশনেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।

ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন-কাণ্ডে মহুয়া মৈত্রর সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। তাঁর বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। গোটা ঘটনায় মহুয়ার পাশে কি তৃণমূল আছে? উঠেছিল প্রশ্ন। সেই মহুয়ার সাংগঠনিক দায়িত্বই বাড়াল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটের আগে যা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কৃষ্ণনগরের সাংসদকে করা হয়েছে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী। সরতে হল কল্লোল খাঁকে। 

লোকসভা ভোটের আগে সোমবার জেলায় জেলায় সাংগঠনিক রদবদল করেছে রাজ্যের শাসক দল। সেই তালিকায় কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী হিসেবে রয়েছে মহুয়া মৈত্রের নাম। আগেও ওই পদে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ। তাঁকে সরিয়ে সভাপতি করা হয়েছিল কল্লোল খাঁকে। এবার তাঁকে সরিয়ে সভানেত্রীর পদে প্রত্যাবর্তন হল মহুয়ার।

ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন মামলায় মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করেছে সংসদের এথিক্স কমিটি। শীতকালীন অধিবেশনেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা। তারপরই মহুয়া এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) দাবি করেছেন, ২০২৪ সালে কৃষ্ণনগরেই দাঁড়াবেন, দ্বিগুণ ব্যবধানে জিতবেন। জল্পনা শুরু হয়, তাহলে কি মহুয়া নিশ্চিত তিনিই ফের তৃণমূলের প্রার্থী হতে চলেছেন? কারণ তৃণমূলের একটা সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছিল, সম্ভবত এবার টিকিট পাবেন না মহুয়া। সেজন্য গোটা ঘটনায় জোরালোভাবে তাঁর পক্ষে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি ঘাসফুল শিবির। দিন কয়েক আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,'মহুয়া নিজের লড়াই লড়তে সক্ষম।' এমন প্রেক্ষাপটে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী পদে মহুয়ার প্রত্যাবর্তন নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে রাজ্য রাজনীতিতে। 

এ দিন জেলাওয়াড়ি রদবদলে হাওড়ার শহরের জেলা সাংগঠনিক চেয়ারপার্সনের পদ থেকে সরানো হয়েছে অরূপ রায়কে। তাঁর জায়গায় এসেছেন লগন দেও সিং। আর জেলা সভাপতি পদে বহাল রয়েছেন কল্যাণেন্দু সেন। হাওড়া গ্রামীণে চেয়ারপার্সন সমীর কুমার পাঁজা। অরূণাভ সেনকে সভাপতি করা হয়েছে। বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে শাওনী সিংহ রায়কে। তাঁর জায়গায় এসেছেন অপূর্ব সরকার।   

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement