Mahua Moitra Kaali Controversy: তৃণমূল কংগ্রেসের (টিএমসি) টুইটার হ্যান্ডেলটি আনফলো করেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার মা কালীকে নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু সেটি ঘিরে প্রবল বিতর্ক সৃষ্টি হয়। তাঁর করা বক্তব্য থেকে সরে আসে দল। তবে তৃণমূলকে অফিসিয়াল ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট আনফলো করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফলো করছেন মহুয়া।
কী নিয়ে বিতর্ক
একটি তথ্যচিত্রে 'কালী'র পোস্টার নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এতে মা কালীকে সিগারেট খেতে দেখা গেছে। এই পোস্টারে হাতে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের একটি রঙিন পতাকাও দেখা গিয়েছে। এই ডকুমেন্টারি ফিল্মটি নির্মাতা লীনা মণিমেকলাইয়ের। মহুয়া মৈত্র ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২২-এ এই বিতর্কের বিষয়ে তাঁর মতামত দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, 'আমার কাছে কালী মাংস ও অ্যালকোহল গ্রহণকারী দেবী', পোস্টার বিতর্কের মধ্যে বললেন মহুয়া
কী বলেছিলেন মহুয়া
মহুয়া মৈত্র বলেছিলেন, 'ঈশ্বর নিয়ে নানা মানুষের নানা রকম মত রয়েছে। আপনি ভুটান বা সিকিমে গেলে দেখবেন ঈশ্বরকে সকালের পুজোয় হুইস্কি দেওয়া হয়। উত্তরপ্রদেশে গিয়ে যদি বলেন প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দেওয়া হচ্ছে, লোকে আঁতকে উঠবেন। আমার কাছে কালী মাংসভোজী, অ্যালকোহল খান এমন দেবী। তারাপীঠে গেলে দেখবেন সাধুরা ধূমপান করছেন। কালীর এই রূপকে আমরা পুজো করি।' তিনি আরও বলেন,'হিন্দু ধর্মে নিজের মতো করে কালীকে কল্পনা করার স্বাধীনতা রয়েছে। এই স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ঠিক যেমনভাবে আপনি নিজের ঈশ্বরকে নিরামিষভোজী, সাদা কাপড় পরিয়ে আরাধনা করতে পারেন।'
মহুয়ার মন্তব্যকে সমর্থন করেনি দল
মহুয়ার মন্তব্য দলের নয় বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল। টুইট করে দলের তরফে জানানো হয়েছে,'মা কালীকে নিয়ে মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য তাঁর ব্যক্তিগত। দল তা সমর্থন করছে না। এই মন্তব্যের নিন্দা করছে সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস।'
The comments made by @MahuaMoitra at the #IndiaTodayConclaveEast2022 and her views expressed on Goddess Kali have been made in her personal capacity and are NOT ENDORSED BY THE PARTY in ANY MANNER OR FORM.
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) July 5, 2022
All India Trinamool Congress strongly condemns such comments.
মহুয়ার মন্তব্যে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর প্রতিক্রিয়া,'সবসময় হিন্দু ধর্মকে অপমান করে তৃণমূল। আমরা আইনি পদক্ষেপ করব। নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে আমাদের সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। আশা করি এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পদক্ষেপ করবেন।'
বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেছেন, মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য থেকে তৃণমূল দায় এড়াতে পারে না। তৃণমূল যদি সমর্থন না করে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মহুয়াকে সাসপেন্ড করা উচিত দল থেকে।