নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁরা। ওমর আবদুল্লা বলেন, 'দিদি সর্বদাই আমাদের পাশে ছিলেন। পহেলগাঁও হামলার পর জম্মু-কাশ্মীরে যা পরিস্থিতি হয়েছিল, তারপর থেকে বর্ডার এলাকায় গুলিগালা চলেছে। সেই সময়ে দিদি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা আমাদের সাহায্য করেছেন। এলাকা ঘুরে দেখেছেন। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাশ্মীর যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন ওমর আবদুল্লা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। জানিয়েছেন, পুজো মিটলেই কাশ্মীর সফরে যাবেন তিনি।
দুই রাজ্যের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং পর্যটনের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেই উল্লেখ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ওমর আবদুল্লা। কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বাংলার সঙ্গে কাশ্মীরের পর্যটন সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা চাই বাংলার মানুষ নির্ভয়ে কাশ্মীর ভ্রমণে যান।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, 'বাংলার বহু পর্যটক কাশ্মীরে বেড়াতে যান। উনি বলছেন, নিরাপত্তা দেবেন, নির্ভয়ে বেড়াতে যেতে। আমরাও চাই মানুষ কাশ্মীরের মতো সুন্দর পর্যটন স্থানে বেড়াতে যাক। তবে বর্ডার এলাকায় নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব তো কেন্দ্রের। তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা উচিত যাতে বৈষ্ণোদেবী, পহেলগাঁও, ডাল লেকের মতো সুন্দর জায়গায় মানুষ বেড়াতে যেতে পারেন নির্ভয়ে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কাশ্মীর জায়গাটির প্রতি আমার টান চিরকালের। ওখানকার আপেল, কাশ্মীরি শাল, মশলা খুব জনপ্রিয়। কাশ্মীরি মহিলাদেরও আমি খুব ভালবাসি।' ওমর আবদুল্লা বলেন, 'আমি বহুবার বাংলায় এসে দিদির আতিথেয়তা গ্রহণ করেছি। এবার দিদি আপনি আমায় সুযোগ দিন যাতে আমিও আপনাকে অতিথিসেবা করতে পারি।' সঙ্গে সঙ্গে মমতা বলেন, 'আমি আপনার আমন্ত্রণ গ্রহণ করছি। পুজোর পর আমি কাশ্মীর যাব।'