রাজ্যে SIR প্রক্রিয়া, ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান কার্যালয়ে হামলা, নাগরাকাটায় বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর উপর হামলা, ডিভিসি-র জল ছাড়া, সব কিছুর নেপথ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের চক্রান্ত দেখতে পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, 'অমিত শাহ এখন এমনভাবে কাজ করছেন যেন তিনিই দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সব কিছু জানেন।'
নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী
পশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও বৃষ্টি পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, 'এত বৃষ্টি, এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, তার মধ্যেই ১৫ দিনের মধ্যে সার্ভের আয়োজন করা হচ্ছে! এটা কি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে সম্মান করা, না বিজেপির পার্টি কমিশনের মতো কাজ করা?' এরপরেই অমিত শাহকে টার্গেট করেন মমতা। যাবতীয় ঘটনায় শাহের ভূমিকার প্রসঙ্গে টেনে মমতা বললেন, 'ওঁদের নেতা (অমিত শাহ) বাংলায় এসে বলে যান, আমরা এক লক্ষ নাম ভোটার তালিকা থেকে কেটে দেব! এটা কি কোনও গণতান্ত্রিক কথা? ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া মানে মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া।'
নরেন্দ্র মোদীকে সতর্কও করলেন মমতা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সতর্কও করলেন মমতা। বললেন, 'প্রধানমন্ত্রীও জানেন সব কিছু। কিন্তু আমার অনুরোধ, প্রধানমন্ত্রী যেন ওঁকে চোখ বুজে বিশ্বাস না করেন। একদিন উনি আপনাদের দলের বড় মীরজাফর প্রমাণিত হয়ে যাবে। প্রথম থেকে খেয়াল রাখুন। মর্নিং শোজ দ্য ডে। এই সব অমিত শাহর খেলা।'
পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়া শুরু করারও তোড়জোড় করছে কমিশন
বস্তুত, উত্তরবঙ্গই শুধু নয়, দক্ষিণবঙ্গেও একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। একাধিক জেলায় এখনও জল নামেনি। দার্জিলিং সহ গোটা উত্তরবঙ্গ প্রকৃতির তাণ্ডবে তছনছ। তারই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে SIR প্রক্রিয়া শুরু করারও তোড়জোড় করছে কমিশন। এই প্রসঙ্গেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। SIR-এর চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ টিম এসে গিয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই এই টিম বাংলায় এসেছে। সিইও অফিসে রয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল, এ রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, কমিশনের তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিজি সীমা খান্না, সচিব এসবি যোশী এবং উপসচিব অভিনব আগরওয়াল। উত্তরবঙ্গ বাদ দিয়ে রাজ্যের সব জেলার সঙ্গে এ দিন ভিডিও কনফারেন্স করেন কমিশনের আধিকারিকরা।