
তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দেওয়া নিয়ে তুলকালাম শুরু হল মেয়ো রোডে। সোমবার দুপুরে ভারতীয় সেনাবাহিনী তৃণমূলের একটি মঞ্চ খুলে দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সেনার পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। অভিযোগ করেন, বিজেপির নির্দেশেই সেনাকে ব্যবহার করা হয়েছে।
মমতা বলেন, 'সেনার কোনও দোষ নেই, তারা আমাদের বন্ধু। কিন্তু বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাকে ব্যবহার করছে। আমাদের যদি বলা হতো, আমরা নিজেরাই মঞ্চ খুলে দিতাম।' তিনি আরও দাবি করেন, তাঁকে দেখেই প্রায় ২০০ সেনাকর্মী ঘটনাস্থল থেকে সরে যান। এ বিষয়ে মমতার কটাক্ষ, 'আমি সেনাকে সম্মান করি। কিন্তু এটা সেনা করেনি, বিজেপির নির্দেশেই করা হয়েছে। সেনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।'
এ ঘটনার প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতিটি ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল হবে। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, এবার থেকে ভাষা আন্দোলনের কর্মসূচি মেয়ো রোডে নয়, বরং রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হবে।
অন্যদিকে, সেনার তরফে জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ময়দান এলাকায় সর্বোচ্চ দু’দিনের জন্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া যায়। তিনদিনের বেশি অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমতি লাগে। তৃণমূলের মঞ্চ প্রায় এক মাস ধরে ছিল বলে সেনা কর্তৃপক্ষ জানায়। বারবার সতর্ক করা সত্ত্বেও মঞ্চ খোলা হয়নি। যেকারণে শেষ পর্যন্ত কলকাতা পুলিশকে জানিয়ে সেনা মঞ্চের অস্থায়ী কাঠামো ভেঙে দেয়।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এই ঘটনায় সেনার পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘাত নতুন মাত্রা পেল। মমতার অভিযোগ, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থে সেনাকে টেনে এনে অশান্তি সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে সেনার ব্যাখ্যা, আইন মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে, মেয়ো রোডের ঘটনায় রাজ্যের রাজনীতিতে ফের চড়ল পারদ।