
নিজস্ব চিত্র রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হয়েও বরাবরই সংস্কৃতি মনস্ক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর গান লেখা, সুর করা, আঁকা কিংবা বই লেখার প্রতিভা সকলেরই জানা। তবে অনেকেই হয়তো জানতেন না ক্রিকেটও খেলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, একবার ক্রিকেট খেলায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচও হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবাক হচ্ছেন? রিচা ঘোষের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ফাঁস হয়েছে সেই না জানা কাহিনি।
সময়টা ন'য়ের দশক। ১৯৮৬ সালে। রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ছিলেন বাংলার সাংসদ। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল সাংসদদের একটি ফ্রেন্ডলি ক্রিকেট ম্যাচ। রাজ্যসভা একাদশ বনাম লোকসভা একাদশের সেই ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন মহিলা এবং পুরুষ MP-রা।
সেই মিক্সড টিমে লোকসভার সদস্যরা হারিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্য়সভার সাংসদদের। লোকসভা টিমের ক্যাপ্টেন হয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পি আর কুমারমঙ্গলম। সে ম্যাচেই সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যাট বল হাতে ২২ গজে নজর করেছিলেন তিনি।

বছর পাঁচেক আগে প্রাক্তন সাংসদ আলভা মার্গেটের পুত্র নিবেদিত সেই ম্যাচের একটি দুর্লভ ছবি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছিলেন। যেখানে দেখা গিয়েছে বাকি সাংসদদের সঙ্গেই মাঠে বসে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরনে সাদা শাড়ি, মাথায় টুপি। বিনুনি বাঁধা চুল আর বুকে নীল-সাদা ব্যাজ।
শনিবার মহিলা ক্রিকেট টিমের অন্যতম সদস্য তথা প্রথম বিশ্বকাপজয়ী বাঙালি রিচা ঘোষকে সম্বর্ধনা জানায় রাজ্য এবং CAB। মঞ্চে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের ক্রীড়াপ্রেমের কথা তুলে ধরেন তিনি। জানান,পিটি ঊষা, বুলা চৌধুরীর মতো অ্যাথলেটদের নানা অজানা কাহিনি। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও যুব এবং ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিয়োগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তখন দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে পার্লামেন্টে গিয়েছেন মমতা। সে প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারের শুরুর দিকে এই অজানা ক্রিকেট ম্যাচের কাহিনি শোনান ক্রীড়া সাংবাদিক গৌতম ভট্টাচার্য। তিনি উল্লেখ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হওয়ার এই কাহিনি রাজ্যের মহিলা ক্রিকেটারদের আরও উদ্বুদ্ধ করবে।
এরপর থেকেই নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ম্যাচের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। অবশ্য ট্রোলিংও কম হচ্ছে না। এই নিয়ে কুণাল ঘোষ প্রতিবাদ করেছেন। সেই ম্যাচের ছবিগুলি পোস্ট করে কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, '১৯৮৬-র MP ক্রিকেট ম্যাচের সেরা যদি ২০২৫-এও বলেন খেলা হবে, তাহলে জয় তো শুধু সময়ের অপেক্ষা বটেই। ট্রোল রে কী হবে? নিজেরা বার্নল লাগাও আর জয় বাংলা বলো।'