ভবানীপুরে কর্মিসভায় 'বহিরাগত ভোটার' মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ওই মন্তব্য ভুলভাবে প্রচার করেছে সংবাদ মাধ্যম। বহিরাগত বলতে কোনও নির্দিষ্ট ভাষা বা রাজ্যের লোককে বলতে চাননি। বহিরাগত আসলে একটা রাজনৈতিক দল।
শুক্রবার গিরিশপার্কে কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে মমতা বলেন,'আমার একটা কথা অন্যভাবে ব্যাখ্য়া করা হয়েছে। আমি বহিরাগত বলতে এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কথা বলিনি। আমি দলের বৈঠকে কাউন্সিলরদের বলছিলাম, তোমারা বস্তিগুলিকে উঠিয়ে কেন বাংলার বাড়ি করে দিচ্ছ না? বস্তিতে গরিব থাকা অপরাধ নয়! কেউ একটা কিনে নিল, আর দুশো মানুষকে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিল, তারা কি মানুষ নয়? কিন্তু আমার কথাটা সংবাদমাধ্যম অন্য় ভাবে ব্যাখ্যা করেছে। আমি দুঃখিত, আজকের দিনে গোদি মিডিয়া আপনারা জানেন। বলি এক, করে এক। বিকৃত করতে ওরা ওস্তাদ। কিন্তু ওরা জানে না, আমি তার ব্যাখ্যাও দিই'।
কলকাতায় জল জমার পিছনে বহুতলগুলির দায় রয়েছে বলেও মনে করেন মমতা। তাঁর কথায়, 'আমার দলের নেতা, কাউন্সিলরদের বলার অধিকার আমার কাছে। আমি তাঁদের সতর্ক করেছিলাম, গরিব মানুষদের যাতে কেউ সরিয়ে দিতে পারে না। আরও একটা কথা বলছিলাম, এবার কলকাতায় বহুতল জল জমেছিল। যে বাড়িটা তৈরি করে দিয়েছিল, সে নিকাশির ব্যবস্থা করেনি। আমি সতর্ক করেছি কাউন্সিলরদের। অনেক সময় ফ্ল্যাট দিয়ে দেয়, কাগজপত্র থাকে না। আমি একটা বড় বহুতল করব, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা উচিত। একটা বাড়ির নিকাশি, পানীয় জলের সব সুযোগসুবিধা থাকে'।
বহিরাগত বলতে বিজেপিকেই যে বুঝিয়েছেন, তাও কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। বলেন,'বহিরাগত বলে আমি একটা রাজনৈতিক দলকে বলেছি। যারা বাইরে থেকে লোক আনছে। দশটা করে লোকের নাম তুলছে। এখানে যাঁরা থাকেন, তাঁরা বাঙালি। নির্বাচনের নাম করে হোটেল, গেস্ট হাউস ভাড়া করে। যাদের টাকা আছে, তারা ফ্ল্যাট কিনে নেয়। একটা লোকের নাম দুটো জায়গায় তো থাকতে পারে না। সেটা দেখা কাউন্সিলরদের কাজ নয়! সে তো প্রতারণা করছে। এটা স্থানীয় নেতা, কাউন্সিলরদের দেখার কাজ। এই কথাটা বলতে গিয়ে তাঁরা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করলেন। আমি সব ধর্মকে নিয়ে চলি'।