বেশ কিছুদিন পর প্রকাশ্যে এসে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কড়া বক্তব্য রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি স্পষ্টতই বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে তীব্র সমালোচনা করেন। মমতা বলেন, "কেউ কেউ মনে করছেন এটা বাংলাদেশ। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটি আলাদা রাষ্ট্র। মোদীবাবু আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন। তাহলে অসম, মণিপুর, ওড়িশা, দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় আগুন লাগবে। আপনার চেয়ার আমরা টলোমলো করে দেব। কেন আইনটা করছেন না? অভিষেক যেটা বলল, আমি তো সেটা লিখেছি। আপনার পার্টি কতটা আমায় চেনে, আমি জানি না। যতই ফান্ডিং করুন, ওই ফান্ডিংকে আমরা এন্ডিং করে দেব।"
তিনি আরও জানান, "আমি ছাত্রছাত্রীদের বলব, আপনারা আগামী শুক্রবার কলেজের গেটে গেটে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করবেন।" সেইসঙ্গে নবান্ন অভিযান নিয়ে মমতার প্রশ্ন, "কালকে কারা এসেছিল আন্দোলন করতে, নাকি গার্জেন কল? ছাত্র-ছাত্রীরা কেউ তোমাদের সঙ্গে নেই। এরা কারা? এরা কোথাকার? যদি বাংলার লোক হয়, তাহলে তারা নবান্ন চেনে না। রাজভবনেও ঢিল মেরেছে।"
তিনি আরও হুঁশিয়ারি দেন, "কেউ যদি মনে করেন বাইরে থেকে এসে বাংলাকে অশান্ত করবেন, তারা মনে রাখবেন বাংলার মৃত্যু নেই, বাংলা অচল হয় না। প্রত্যেকটা লোককে খুঁজে বের করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। কোর্ট কী করবে জানি না, তবে মানুষ শাস্তি দেবে।"
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাঁর এই তীব্র মন্তব্য ও হুঁশিয়ারির প্রেক্ষিতে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া কী হবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
পাশাপাশি দলের ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসটিকে সমাজের নির্যাতিতাদের জন্য উৎসর্গ করেন মমতা। বলেন, “আজকের দিনটা সমাজের নির্যাতিতদের জন্য ডেডিকেট করছি। বিশেষ করে আর জি করের আমার প্রিয় বোনটিকে, যেভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। নির্যাতিতদের প্রতি ও তাঁদের পরিবারের জন্য উৎসর্গ করছি। এই কদিনে অনেক কিছু ঘটে গিয়েছে।” এপ্রসঙ্গে তিনি মহারাষ্ট্রের নির্যাতিত শিশু, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মণিপুরের কথা উল্লেখ করেন। অসমের ঘটনা টেনে তাঁর দাবি, সেখানে এনকাউন্টার করে দেওয়া হয়েছে।